ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অসাংবিধানিক কারও অধীনে নির্বাচন নয় ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২ অক্টোবর ২০১৬

অসাংবিধানিক কারও অধীনে নির্বাচন নয় ॥ নাসিম

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১ অক্টোবর ॥ চৌদ্দ দলের সমন্বয়ক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, আগামী ২০১৯ সালের আগে দেশে কোন জাতীয় নির্বাচন নয়। সংবিধানের বিধি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনে বিএনপিকে আসতে হবে। অসাংবিধানিক কারও অধীনে নির্বাচন নয়। ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে বিএনপিকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সঠিক বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় খালেদা জিয়াকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে চাওয়া হয়েছিল। তারপরও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তাই সংবিধান অনুযায়ী সে সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নওগাঁ নওজোয়ান মাঠে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলা ১৪ দল আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কথাগুলো বলেন। নওগাঁ জেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক এমপির সভাপতিত্বে জনসভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাহ এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, জাসদ ইনু’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন, সাম্যবাদী দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য এম এ গণি, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এনামুল হক, আজাদী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউল্যা খান, জাতীয় সংসদের হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু এমপি, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, ইসরাফিল আলম এমপি, ওয়ার্কার্স পার্টি নওগাঁ জেলার সাধারণ সম্পাদক শহিদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন, জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী শাহনাজ বেগম, জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল বাকী, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জহুরুল সিদ্দিকী মিলন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট খোদাদাদ খান পিটু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাছিম আহম্মেদ নাছিম, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাতিশা আলম এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাহমানিয়া রিজভী বক্তব্য রাখেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল অত্যাবশ্যকীয়। ওই নির্বাচন না হলে দেশে সামরিক শাসন জারি হতো। কোন রাজনীতি, দেশে কোন গণতন্ত্র থাকত না। সেক্ষেত্রে ওই নির্বাচন খুবই জরুরী ছিল। ক্ষমতায় যাওয়ার নেশায় খালেদা জিয়ার নির্দেশে জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটানো হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা জঙ্গীবাদ দমন করতে সক্ষম হয়েছি। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যেই সারাদেশের মানুষ জঙ্গীবাদ আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের প্রভুত উন্নয়ন সাধিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রামে-গঞ্জে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনী ওয়াদা মোতাবেক দেশের হতদরিদ্র মানুষদের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম চলছে। সবার জন্য বিনামূল্যে বই প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। দেশের মানুষ আজ খুবই শান্তিতে আছেন। এই শান্তি এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর আগে দুপুরে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার পুঁইয়া এলাকায় ২২ কোটি ৯৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাট্স) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি জেলা পরিষদের ১ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৪৩০ টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মিত নজিপুর ডাক বাংলোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতল ভবনের এবং পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বৈকালিক চিকিৎসা সেবার উদ্বোধন করেন।
×