জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকার সাভারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি যুবদল নেতা এবং শনিবার ভোরে লক্ষ্মীপুরে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামি নিহত হয়েছে। এ সময় এক এসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতার।
জানা গেছে, সাভারে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম নয়ন (৪৪) নিহত হয়েছে। নয়ন সাভার মালঞ্চ আবাসিক এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় এস.আই তন্ময় আহত হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
নিহত নয়নের ছোট ভাই মাসুদ আলম (লিটন) জানান, শুক্রবার তার ভাই নয়নকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিহারী কলোনির ভাড়া বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় সাভার মডেল থানার এস.আই তন্ময় কুমার বিশ^াস ও এ.এস.আই আহসান হাবিবসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এরপর তার ভাই সাভার মডেল থানাতেই ছিল। রাত নয়টার দিকে পুলিশের মাইক্রোবাসে করে নয়নকে থানা থেকে বাইরে নিয়ে যেতে দেখে তার মা। শনিবার সকালে তিনি জানতে পারেন যে, বিরুলিয়ার কৃষিবিদ নার্সারির পাশে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তার ভাই মারা গেছে।
পুলিশ বলছে, রাত অনুমান পৌনে তিনটার দিকে নয়নকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে পূর্ব থেকে
ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশ তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। উভয়পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নয়ন আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৪টি ছোরা ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়। পরে তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, নয়ন সাভারের মাদক বিক্রেতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, পুলিশের উপর হামলা, অস্ত্র, মাদক, অপহরণ ও হত্যাসহ অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে। এছাড়া, মানিকগঞ্জে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং সিঙ্গাইর থানায়ও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর ॥ শনিবার ভোরে জেলার রামগতিতে বন্দুকযুদ্ধে নিজাম হোসেন ওরফে নিজাম (২৮) নামে এক জলদস্যু নিহত হয়েছে। রামগতি উপজেলার বিবিরহাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিজাম নোয়াখালীর জিয়ার চর এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ ও ২টি ছোরা উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিজামকে শুক্রবার রাতে রামগতির দ্বীপ বয়ারচর থেকে থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভোরে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে জলদস্যু নিজামের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়। এতে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে ডাকাত নিজাম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ সময় চার পুলিশ আহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, নিহত নিজামের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অপহরণসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
