বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ হওয়া দরকার। অনেক আগে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ছিল। আবার সেটি চালু হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতও সুবিধা পাবে।
শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মিলনায়তনে চীনের ৬৭তম জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সাম্যবাদী দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এটি দুই দেশের জন্য আলোচিত ও ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলাদেশর রাজনীতিতে এটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। তাঁকে অভ্যর্থনা দেয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
তিনি বলেন, এ সফরকালে চীনের সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই আত্মিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। হাজার বছর আগে জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর পায়ে হেঁটে চীন পৌঁছেছিলেন এ অঞ্চলের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য।
চীন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা এবং অতীতের কথা স্মরণ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, চীন ও ভারত বর্ষের সভ্যতার মতোই তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুরনো। দুই দেশের উন্নয়নের কথা ভেবে সে সম্পর্ক আজও অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, এক সময় কুনমিং থেকে কলকাতা পর্যন্ত মোটর শোভাযাত্রাও হয়েছে। সেই যোগাযোগ আবার ফিরিয়ে আনা দরকার।
এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াকে লক্ষ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় একমাত্র দিলীপ বড়ুয়া চীনপন্থী ছিলেন। কিন্তু এখন আমরা অনেকেই চীনপন্থী।’ তিনি বলেন, কৃষ্টি, কালচার, আধুনিকতা ও ধর্মীয় চেতনা নিয়ে এদেশের মানুষ যেভাবে ভাবেন, চর্চা করেন; চীনেও তাই। তাদের নৈতিক আদর্শের সঙ্গেও আমাদের মিল আছে। সুতরাং উভয় দেশের মেলবন্ধন যতটুকু না রাজনৈতিক, তার চেয়ে বেশি আত্মিক।
চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ইয়াং জাও হুই বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে আমরা নানাভাবে সম্পৃক্ত আছি এবং থাকব। আমরা চাই দুই দেশের সুসম্পর্কের মাধ্যমে উন্নত চিন্তার বিকাশ ঘটবে।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: