ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ২ অক্টোবর ২০১৬

মোবাইল ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মোবাইল ব্যাংকিং খাতকে জনবান্ধব ও সেবামূলক খাতে পরিণত করতে পৃথক মোবাইল ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এ্যাসোসিয়েশন। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয় ২০১১ সালে। শুরুতে মানুষ এ সেবা বুঝে হোক আর না বুঝে হোক তা লুফে নেয়। যে উদ্দেশে এ মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করা হয় তা হলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনা। তারা বলেন, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত। এসব জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের উদ্দেশেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। সেই মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশে এতো বিকাশ লাভ করেছে যে তা রকেট আকারে মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্র হয়ে প্রান্তিক অর্থনীতিতে আঘাত হানছে। এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন হয় প্রায় ৬০৫ কোটি টাকা। আর এ থেকে কমিশন বাবদ কোম্পানির নির্ধারিত রেট অনুযায়ী দৈনিক কমিশন আসে ১১ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা মাসে দাঁড়ায় ৩৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা; বছরে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। আর রিটেইলাররা এরপরে অতিরিক্ত আদায় করে থাকে ১২০ কোটি টাকা। যা এক প্রকার ‘প্রকাশ্যে ডাকাতি’ ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, সেন্ট মানি বাবদও কাটা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কোম্পানিগুলো জনস্বার্থে কোন কাজ না করে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে তারা নিজেদের প্রচারণার জন্য বিশাল বিশাল বিজ্ঞাপন প্রচারে ব্যস্ত থাকে। যার ফলে প্রান্তিক অর্থনীতি আজ হুমকির সম্মুখীন। গত ৫ বছরে যে অতিরিক্ত সার্ভিস বাবদ যা আদায় হয়েছে তা দিয়ে একটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত। মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ প্রতি হাজারে প্রায় ২০ টাকা যা সাধারণ ব্যাংকিং লেনদেন চার্জের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তাই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ কমিয়ে আনারও দাবি জানায় সংগঠনটি। অবিলম্বে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সার্ভিস চার্জ কমানো, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আলাদা মোবাইল ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে এ খাতকে জনবান্ধব ও সেবামূলক খাতে পরিণত করার জোর দাবি জানান বক্তারা। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, জাগো বাঙালীর সভাপতি ড. মেজর (অব.) হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের এ্যাডভোকেট বেহেশতি মারজান, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশীদ খান প্রমুখ।
×