বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তৈরি পোশাকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি (জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস) সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশকে আরও কিছু অগ্রগতি দেখাতে হবে বলে নিউইয়র্কের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে জানানো হয়েছে।
বস্টনে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন’ বিষয়ে দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা উঠে আসে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক সম্মেলনে পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা এমি ম্যাকগেন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ কিছু অগ্রগতি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশকে আরও কাজ করতে হবে।’ সম্মেলনে মূল বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার পোশাক-শ্রমিকদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এসব পদক্ষেপকে আরও বলিষ্ঠ করতে পাশ্চাত্যের আমদানিকারকদের এবং উন্নয়ন সহযোগীদের আরও সচেষ্ট হতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ সব পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সব বাধা সরাতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান হয়েছে। সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ইয়েভজেনিয়া শেভচেঙ্কো বলেন, ‘উচ্চমূল্যের কারণে চীনের পোশাক রফতানি কমলে বাংলাদেশের জন্য তৈরি পোশাক খাতে বিশাল সুযোগ তৈরি হবে এবং পণ্যের দাম, মান, সময় ও কারখানার কর্মপরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ এই সুযোগ নিতে পারে।’
দিনব্যাপী সম্মেলনে চারটি সেশনে আলোচনা করা হয়। এগুলো হলো- ১. কমপ্লায়েন্স মেনে পোশাক রফতানি, ২. পোশাকের ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ এবং তাতে ক্রেতা-বিক্রেতার যৌথ দায় নিশ্চিতকরণ, ৩. বাণিজ্যনীতি, শ্রমিকদের অধিকার এবং কর্মপরিবেশ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন কৌশলের অপরিহার্যতা এবং ৪. বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ২০২১ সালের মধ্যে ৫ হাজার কোটি ডলার অর্জনের রূপকল্প। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লেবার এ্যান্ড ওয়ার্ক লাইফ প্রোগ্রাম’ ও বস্টনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট’ (আইএসডিআই)’র যৌথ এই সম্মেলন আয়োজনে সহায়তা করেছে বিজিএমইএ ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। আইএসডিআইর নির্বাহী পরিচালক ও হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের কর্মকর্তা ইকবাল ইউসুফ এর সমন্বয় করেছেন।
অর্থনীতি ডেস্ক
