ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মোজাম্মেল খানের কৃতিত্ব

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২ অক্টোবর ২০১৬

ড. মোজাম্মেল খানের কৃতিত্ব

অধ্যাপক ও কলামিস্ট বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী ড. মোজাম্মেল খান কানাডার ঝযবৎরফধহ ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ ঞবপযহড়ষড়মু ধহফ অফাধহপবফ খবধৎহরহম-এর সিনেটের স্পীকার নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ড. মোজ্জামেলই প্রথম বাংলাদেশী যিনি কানাডার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পদে নির্বাচিত হলেন। উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে তিনি সিনেটের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে যন্ত্রকৌশলে ডিগ্রী নেবার পর ১৯৭৩ সালের মে মাসে বিদেশে আসেন অধিকতর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের জন্য। সে প্রক্রিয়ায় তিনি ১৯৭৯ সালে University of Illinois at Urbana-Champaign থেকে পি এইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। বিশ্বখ্যাত বাঙালী ড. এফ আর খানের পর তিনিই প্রথম বাঙালী যিনি এই বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ইরাক, কুয়েত এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন শিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক এবং গবেষক হিসেবে কাজ করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে টরন্টোতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেই থেকেই কানাডার টরন্টোর উপশহর অকভিল, মিসিসাগা এবং ব্রাম্পটন এ অবস্থিত ঝযবৎরফধহ ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ ঞবপযহড়ষড়মু ধহফ অফাধহপবফ খবধৎহরহম এর অধ্যাপক এবং গবপযধহরপধষ ঊহমরহববৎরহম এবং ছঁধষরঃু ঊহমরহববৎরহম বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এখানে ছঁধষরঃু ঊহমরহববৎরহম (চড়ংঃমৎধফঁধঃব) বিভাগটি তিনি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। এটা ঙহঃধৎরড় এর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম ফবঢ়ধৎঃসবহঃ। ২০১২ সালে কানাডার এক নম্বর ছঁধষরঃু ঊহমরহববৎরহম বিভাগ হিসেবে গপখবধহ গধমধুরহব দ্বারা নির্বাচিত হয় এটি। এ ফবঢ়ধৎঃসবহঃ থেকে গ্রাজুয়েট করে কয়েকশ’ প্রকৌশলী নতুন কানাডিয়ান হিসেবে এদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পেশায় প্রতিষ্ঠিত। যার মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশীও রয়েছেন। অসবৎরপধহ ঝড়পরবঃু ভড়ৎ ছঁধষরঃু এর সভাপতি ড. খান এ বিভাগের গ্রাজুয়েটদের এদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে কিভাবে অবদান রেখেছেন সে সম্পর্কে তাঁকে নিয়ে একটা বই লেখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝযবৎরফধহ এর সঙ্গে এক ঁহফবৎংঃধহফরহম হয়। বইটার নাম হবে “ঞৎধহংভড়ৎসরহম ষরাবং ধঃ ঝযবৎরফধহ- ধ ঃৎরনঁঃব ঃড় উৎ. গড়ুধসসবষ কযধহ” যাতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিভাগের গ্রাজুয়েটরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা লিখবেন। এই বই বিক্রির অর্থ থেকে ‘ঞযব গড়ুধসসবষ কযধহ ঝপযড়ষধৎংযরঢ় ঋঁহফ’ নামে ফান্ড চালু হবে। এই ফান্ড থেকে একজন ছাত্রকে প্রতিবছর ঝপযড়ষধৎংযরঢ় দেয়া হবে। ঝযবৎরফধহ এর পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে কোন অধ্যাপককে নিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম। ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
×