ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আফগানিস্তান

প্রকাশিত: ০১:১৫, ১ অক্টোবর ২০১৬

বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আফগানিস্তান

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে। আর সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আট উইটেক হারিয়ে রির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭৯ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ১-১ সমতায় থাকা সিরিজ জিততে হলে অতিথি আফগানদের করতে হবে ২৮০ রান। ২৮০ রানের চ্যলেঞ্জটা আফগানিস্তানের জন্য বড় হলেও সে লক্ষ্য পূরণে ব্যাট করছে অতিথি দল। শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে চায়। কিন্তু ইনিংসের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছে আফগানরা। বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদকে সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই আফগান ইনিংসে আঘাতটি হানলেন বাংলাদেশ। আফগানদের দলীয় ৫ রানে পড়লো প্রথম উইকেট। এ রিপোর্ট লেখার সময় আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা। যেখানে ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রেহ পথ তৈরি করে বাংলাদেশ। যদিও শুরুতেই উইকেটে পেতে পারতো আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবীর বলে তামিমের একেবারে সহজ ক্যাচ মিস করেন আফগান অধিনায়ক আজগর স্ট্যানিকজাই। আর জীবন পেয়ে সেই তামিম ‍আফগানদের কাছে হয়ে উঠলো ভয়ঙ্কর। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি আদায় করলেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১১৮ বলে ১১৮ রান করে এই তামিম। এর আগে অবশ্য, দলীয় ২৩ রানে ১১ রান করে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। এরপর তামিমের সংঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় দলকে নির্ভরযোগ্য একটি অবস্থানে নিয়ে যান সাব্বির রহমান। ব্যক্তিগত ৬৫ রান করে রহমত শাহের বলে নওরোজ মঙ্গলের হাতে ধরা পড়েন হার্ডহিটার এ ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে ৭৯ বল মোকাবেলায় ৬ চার ও ৩ ছক্কায় এ ইনিংসটি সাজান সাব্বির। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সেই সঙ্গে ভক্তদেরও হতাশায় ডুবিয়েছেন তিনি। তবে আফগানদের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টাইগার সমর্থকদের আর নিরাশ করেননি দেশসেরা এ ওপেনার । দারুণ নৈপুণ্যে নিজের সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম। ১১০ বল মোকাবেলায় ১০ চারের সাহায্যে শতক পূরণ করেন তিনি। সেঞ্চুরির পূরণের পর অনেকটাই মারমুখী হয়ে উঠেন তামিম। এর পর ফিরে যান ১১৮ রান করে। এরপর ক্রিজে এসে ততোটা সুবিধা করতে পারেননি দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান করার চেয়ে বেশি বল খরচ করেছেন তিনি। ৩৫ বল মোকাবেলা করে ১৭ রান করে আউট হন সাকিব। ১২ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহিম আর চার রানে মোসাদ্দেক হোসেন। দলীয় ২৪৮ রানে সপ্তম ‌উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৪ বল খেলে ক্যাচ আউটের শিকার হয়ে ৪ রানে ফিরে যার মোশাররফ হোসেন। দুই রান করেন মাশরাফি। ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ আর শফিউল ইসলাম অপরাজিত দুই রানে। সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন এসেছে। দলে ফিরেছেন পেসার শফিউল ইসলাম ও বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন রুবেল। বাদ পড়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম আর পেসার রুবেল হোসেন। আজকের ম্যাচ জিতলে ওয়ানডেতে নিজেদের শততম জয় পাবে বাংলাদেশ।
×