ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় খেয়াঘাটের ইজারাদারদের হয়রানিমূলক মামলা

প্রকাশিত: ২৩:০০, ১ অক্টোবর ২০১৬

গাইবান্ধায় খেয়াঘাটের ইজারাদারদের হয়রানিমূলক মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ ফুলছড়ির ব্রহ্মপুত্র নদে বালাসীর বিআইডাব্লিউটিএ’র লঞ্চঘাটের হ্যান্ডলিং ঠিকাদার কর্তৃক ফুলছড়ির রসুলপুর ইউপি খেয়াঘাটের ইজারাদারের টোল আদায়ে বাধাসহ মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। আজ শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে খেয়াঘাটের ইজারাদার রেদোয়ান আশরাফ হোসেন পলাশ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে এর প্রতিকার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা ফুলছড়ি থানার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভূক্ত রসুলপুর হালুয়া বাড়ি খেয়াঘাট ও সৈয়দপুর খেয়াঘাট দুটি শত বছরের পুরনো ঘাট। যা ঘাট দুটি কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রতিবছর ইজারা দেয়া হয়। তেমনিভাবে চলতি বছরেও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলীর সন্তান মোঃ রেদোয়ান আশরাফ হোসেন পলাশকে বিধিমোতাবেক ঘাট দুটি ১৪২৩ বাংলা সনের ইজারা প্রদান করা হয়। নদীর নাব্যতার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের রসুলপুর ঘাট সংলগ্ন বি.আই.ডাব্লিউ.টি.এর বালাসী লঞ্চঘাট যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত হয়। এরপূর্বে এই বালাসী লঞ্চঘাটটি সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের বালাসী মৌজায় ও পরে গিদারি ইউনিয়নের বাগুড়িয়া বাজারে ছিল এবং এখনও সেটা সেখানেই আছে। বালাসী লঞ্চঘাটটি কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের রসুলপুর খেয়াঘাটে হওয়ায় পূর্ববর্তী ইজারাদারদ্বয় অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদের ঘাট এবং পল্টুনঘাটের ইজারদার সমন্বয় করে উত্তোলনকৃত ঘাটের টোল সমান দুই অংশে ভাগ করে ঘাট পরিচালিত করত। কিন্তু বর্তমানে বিআইডাব্লিউটিএ’র ইজারাদার আসাদুজ্জামান হাসু পরিষদের ইজারাদারের সাথে সমন্বয় করা তো দুরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের ঘাট বিলুপ্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মতিয়ার রহমান, আবুল কালাম সরকার, সাদেক আলী, আয়নাল হক, নান্টু মিয়া, আবু তালেব মন্ডল, সাইফুল ইসলাম, আবু সাঈদ, রাখু মিয়া, তুলন বিশ্বাস, আখুর রশিদ সরকার, সাদা মিয়া, রিপন মিয়া প্রমুখ।
×