ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্টিভেন ওভারলি

ফিলিস্তিনী ছাত্ররা তৈরি করেছে সোলার কার

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ১ অক্টোবর ২০১৬

ফিলিস্তিনী ছাত্ররা তৈরি করেছে সোলার কার

গাজার আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ফিলিস্তিনী প্রকৌশল ছাত্র সৌরশক্তিচালিত গাড়ি উদ্ভাবন করেছে। তিন চাকার এই ছোট গাড়িটির ছাদে লাগানো আছে সৌর প্যানেল যা সূর্যের আলো শুষে নিয়ে সেটাকে বিদ্যুতে পরিণত করবে এবং সেই বিদ্যুত দিয়ে মোটর চলবে। গাড়িটির গতি ঘণ্টায় মোটামুটিভাবে ১৮ মাইল। তবে এর উদ্ভাবকরা আশা করেন যে সৌরশক্তিচালিত গাড়ি ফিলিস্তিনী মোটরগাড়ি চালকদের জন্য শেষ পর্যন্ত এক লাভজনক বিকল্পে পরিণত হবে। ফিলিস্তিনী ছাত্র দুজন হলো জামাল আল মিকাতি ও খালেদ আল বারদাবিল। এদের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটা যে আনকোরা নতুন কিছু তা নয়। সারা বিশ্বে আরও অনেক গবেষক ও উদ্ভাবক সৌরশক্তিচালিত যান বানিয়েছেন যদিও কোনটাই বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হয়নি। বস্তুতপক্ষে বৈদ্যুতিক যানের বাজার এখনও অঙ্কুরিত অবস্থায় আছে। সে যাই হোক, ফিলিস্তিনী ছাত্রদ্বয়ের এই উদ্ভাবন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ অংশত যে পরিবেশে এটা বানানো হয়েছে তার জন্য। কেননা বহু বছরের যুদ্ধ ও বাণিজ্য বিধিনিষেধের ফলে গাজার জনগণ এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। তাদের বিদ্যুত, জ্বালানি ও শিল্প সামগ্রীর নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নেই। গাজার একমাত্র বিদ্যুত কেন্দ্রটি ২০০৬ সালের সংঘর্ষের সময় ইসরাইলী বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খালেদ আল বারদাবিল ভয়েস অব আমেরিকার কাছে বলেন, বিদ্যুতের অভাব থাকায় আমরা আল্লাহর প্রদত্ত এনার্জির ওপর নির্ভর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এনার্জি নবায়নযোগ্য, বিকল্প ও বিশুদ্ধ। তাই আমরা সৌরশক্তিচালিত গাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ বারদাবিল ও জামাল আল মিকাতি মিলে লেকচারার মাজেন আবু আমারার তত্ত্বাবধানে এই গাড়ি তৈরি করেন। নিউজ আউটলেট আল এরাবিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতকারে বারদাবিল বলেন, বিক্ষোভ গোলাযোগের কারণে ব্যবসায়ীরা প্রায় দিনই কয়েকটা দোকানপাট বন্ধ রাখে। অনেক মানুষ যেখানে বিদ্যুত আছে তার আশপাশে সামাজিক জীবন রচনার পরিকল্পনা করে। বিদ্যুত ও জ্বালানির সরবরাহ যেখানে কম সেখানে এগুলোর ওপর নির্ভরশীল নয় এমন পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে অন্তত একটা সীমাবদ্ধতার হাত থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন বারদাবিল। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট
×