ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন করেছে ফোর্বস ম্যাগাজিন

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১ অক্টোবর ২০১৬

 সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন করেছে ফোর্বস  ম্যাগাজিন

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কিউবা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ হিলারির ডোনাল্ড ট্রাম্প কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে আইন ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ এনেছেন ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটন। তার হোয়াইট হাউস প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের এক কোম্পানি ওয়াশিংটনের অনুমোদন ছাড়া কিউবায় অর্থ ব্যয় করেছেন, এ অভিযোগ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর হিলারি বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনলেন। খবর ইয়াহু নিউজের। নিউজউইকে প্রকাশিত রিপোর্টটির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন হিলারি ও তার নির্বাচনী টিম। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৯৮-এ ট্রাম্প হোটেলস এন্ড ক্যাসিনো রিসোর্টের নির্বাহীরা কমিউনিস্ট শাসিত দ্বীপ দেশটিতে এক সফরে যান বলে প্রমাণ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলে দেশটিতে যাতে ব্যবসার ভিত্তি গড়া যায়, নির্বাহীরা সেই আশায় ছিলেন। সাময়িকীটি বলেছে, ঐ সফর সংক্রান্ত দলিলাদিতে দেখা যায়, ট্রাম্প কোম্পানি কিউবায় অন্তত ৬৮ হাজার ডলার ব্যয় করেছে। অথচ, মার্কিন সরকারের অনুমোদন ছাড়া এ ক্যারিবিয়ান দেশটিতে ঐ অর্থ ব্যয় ছিল অবৈধ। পত্রিকাটি বলেছে, কোম্পানি ঐ অর্থ সরাসরি ব্যয় করেনি। তা সেভেন এ্যারোল ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন নামের এক কনসালটিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যয় করা হয়েছিল এবং অর্থ এক দাতব্য প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ব্যয় করা হয়েছে। এ রকমটা দেখানোর জন্য ট্রাম্পকে জানিয়েই তা ব্যয় করা হয়েছিল। ট্রাম্পের এক সাবেক নির্বাহী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, কোম্পানি সফরের আগে ব্যয়ের জন্য সরকারের অনুমতি পায়নি। হিলারি এক টুইটে বলেছেন, ট্রাম্প আইন ভঙ্গ করেছেন এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন। ফিডেল ক্যাস্ট্রোর প্রশাসনকে আর্থিক দুর্ভোগে ফেলার উদ্দেশ্যে ১৯৬০-এর দশকের প্রথম দিকে কিউবায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ওয়াশিংটন ও হাভানার মধ্যে সম্প্রতি কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্প্রতিষ্ঠিত হলেও নিষেধাজ্ঞা এখনও কার্যকর রয়েছে অনেকাংশে। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন এক সময় বলেছিলেন, আমি অনেক ধনী, এ আমার সৌন্দর্যের একটা অংশ। কিন্তু গত এক বছরে তার সম্পদের পরিমাণ বেশ কমেছে। ফোর্বস ম্যাগাজিন ট্রাম্পের সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন করেছে। তাতে ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত তার ৮০ কোটি মার্কিন ডলার কমেছে। ম্যাগাজিনটির হিসাব অনুযায়ী টাকার অঙ্কে ট্রাম্পের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩৭০ কোটি মার্কিন ডলার। সোমবার বিতর্কে অংশ নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমার অসাধারণ আয় রয়েছে। অর্থ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে এমন কেউ এবার লড়ছে। তিন দশক ধরেই ফোর্বস ট্রাম্পের সম্পদের হিসাব গণনা করে আসছে। আবাসন ব্যবসার মধ্য দিয়েই ট্রাম্প তার সম্পদের বিশাল ভা-ার তৈরি করেছেন। ফলে এ খাতে ওঠানামার প্রভাব ট্রাম্পের সম্পদেও পড়বে।
×