ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চুরির অভিযোগে শিশুকে নির্মম নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১ অক্টোবর ২০১৬

চুরির অভিযোগে শিশুকে নির্মম নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ৩০ সেপ্টেম্বর ॥ চুরির অভিযোগে এক শিশুকে হাত বেঁধে পিটিয়ে রোদে বসিয়ে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনা এখন মংলার মানুষের মুখে মুখে। জানা গেছে, শাকিল নামে সাত বছরের এক শিশুকে লোহার রড চুরির সন্দেহে এমন শাস্তি দেয় আবুল হোসেন (৫০) নামে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ও তার কর্মচারী শুক্কুর (৪৮)। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে মংলা শহরের ট্রেডার্স মসজিদ রোডের মেসার্স রফিকুল ইসলাম আয়রন স্টোরের সামনে। শাকিল দিনমজুর শামীমের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কর্মচারী শুক্কুরকে আটক করেছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। পরে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার পরিবারের কাছে দুপুরের দিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে এ ঘটনায় মামলা হয়। পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মংলা থানা পুলিশের শহর উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) উত্তম চ্যাটার্জি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক মংলা ট্রেডার্স মসজিদ রোডে মেসার্স রফিকুল আয়রন স্টোরের সামনে আসি। এ সময় দেখি চুরির অভিযোগে অমানবিকভাবে শিশু শাকিলকে হাত পিছন দিয়ে বেঁধে রোদে বসিয়ে রেখেছে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ও তার কর্মচারী শুক্কুর। প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা মোহামেডানের সাবেক খেলোয়াড় মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, রড চুরির অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে শিশুটিকে মেরে বেঁধে তার পায়ের ওপর রড দিয়ে তপ্ত রোদে বসিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি মর্মান্তিক দেখে স্থানীয় কয়েকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করতে চাইলেও বাধা দেয় আবুল হোসেন ও শুক্কুর। শিশু শাকিল জানায়, ‘আমি দুটি ছোট রড রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছি। যখন বিক্রি করতে তাদের কাছে যাই তারা আমাকে টাকা না দিয়ে চুরি করেছিস বলে মারপিট করে এবং রোদে বেঁধে রাখে। অনেক চিৎকার করলেও তারা আমাকে ছাড়ে নাই। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে।’ পুলিশ জানায়, শিশু শাকিল নির্যাতনের ঘটনায় থানায় শিশু নির্যাতন আইনে দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ভাঙ্গারি দোকানের কর্মচারী শুক্কুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অপর আসামি আবুল হোসেনকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
×