ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১ অক্টোবর ২০১৬

ঢাকায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট  দল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জস বাটলারের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে ইংল্যান্ড ওয়ানডে ক্রিকেট দল। আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) এফটিপি অনুযায়ী এটি পূর্ব নির্ধারিত দিপক্ষীয় সিরিজ। কিন্তু গুলশানে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত সন্ত্রাসী ঘটনার পর ইংলিশদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। কেবল বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডই নয়, যা হয়ে ওঠে বিশ্ব ক্রিকেটেরই আলোচিত ইস্যু। বৃটিশ মিডিয়া, ইসিবি ও একাধিক খেলোয়াড়ের নেতিবাচক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিরিজটি বড় রকমের শঙ্কার মধ্যে পড়ে। ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পরিদর্শক দলের চুলচেরা বিশ্লেষণের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া নিরাপত্তা পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হয়ে গ্রীন সিগন্যাল দেয় ইসিবি। দূর হয় সব শঙ্কা। বাটলার-বাহিনী ঢাকায় পা রাখায় তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সিরিজটা এখন বাস্তব। ক’দিন আগে হয়ে গেল অনুর্ধ-১৬ মহিলা ফুটবলের একটি আন্তর্জাতিক আসর, শুক্রবার পর্দা নামল এশিয়া কাপ অনুর্ধ-১৮ হকির। দারুণভাবে চলছে আফগানিস্তান ক্রিকেট সিরিজ। একের পর এক সফল আয়োজনই প্রমাণ করে বাংলাদেশ এখন শতভাগ নিরাপদ। নিরাপত্তা নিয়ে ইংলিশরা যে এতটুকু ভাবছে না বাটলারের কথায় সেটি পরিষ্কার, ‘পৃথিবীর সবদেশেই নিরাপত্তা একটি সমস্যা। তাই শুধু এটিকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে ক্রিকেট না খেলাটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সুন্দর একটি ট্যুর করতে যাচ্ছি। নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। মাঠে চ্যালেঞ্জিং ক্রিকেট হবে। নিরাপত্তাকর্মীদের বলব, আপনারা বিশ্রাম নিন, আর আমরা ক্রিকেট নিয়ে মেতে উঠি।’ ইংলিশরা যে ইতিবাচক, বাটলারের বক্তব্যই তা প্রমাণ করে। গত বিশ্বকাপে এই বাংলাদেশের কাছে হেরে ইংল্যান্ডকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল। মরগান সেটি ভোলেননি। তবে মাঝের এই সময়টাতে দল হিসেবে তারা বেশ ভালভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাও বলেছেন এক সিরিজের ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব পাওয়া মরগান বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে তরুণদের বেশি করে সুযোগ দেয়া হয়েছে। বিশ্বকাপে এ্যাডিলেডে সেই হারের কথা মনে আছে। সেটি ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশার ও বাজে একটি দিন। তবে গত ১৮ মাসে আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। যেখানে এই তরুণদের অনেকেই ছিল। স্বাগতিক বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত আমরা।’ ৭ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুটি ওয়ানডে মিরপুরে, ১২ তারিখ ম্যাচ চট্টগ্রামে। সেখানেই প্রথম টেস্ট ২০ তারিখ থেকে। ২৮ তারিখ ঢাকায় শুরু দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। মাঝে ৪ তারিখ ফতুল্লায়, ১৪ ও ১৬ তারিখ চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। সফর নিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেটে কম ঝড় বয়ে যায়নি। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন নিয়মিত ওয়ানডে অধিনায়ক ইয়মন মরগান। তার পরিবর্তে রঙিন পোশাকে তিন ম্যাচের এই সিরিজের নেতৃতে বাটলার। কেবল মরগান নয়, একই কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক তারকা এ্যালেক্স হেলসও। স্বভাবতই ইংলিশ দলটি হয়ে উঠেছে তারুণ্যনির্ভর। জো রুটের মতো তুখোড় ব্যাটসম্যানকে ওয়ানডেতে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। এ্যালিস্টার কুকের টেস্ট দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের জন্য ভিভিআইপি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসান। ঠিক বিদেশী রাষ্ট্রনায়কদের যেমন নিরাপত্তা দেয়া হয়। শান্তিপ্রিয় বাংলায় স্বাগত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।
×