ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২২ লাখ টাকা আত্মসাত ॥ মাদ্রাসা সুপার বরখাস্ত

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১ অক্টোবর ২০১৬

২২ লাখ টাকা আত্মসাত ॥ মাদ্রাসা সুপার বরখাস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ৩০ সেপ্টেম্বর ॥ সদর উপজেলার ক্রোক কেরামতিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাহবুবুর রহমানকে অর্থ আত্মসাত ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পাদনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভায় সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সুপারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার বিভিন্ন উৎস থেকে আয় হওয়া প্রায় ২২ লক্ষাধিক টাকা অবৈধ পন্থায় আত্মসাত করেছেনÑ এমন অভিযোগ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। মাদ্রাসাটি বিখ্যাত জৈনপুরী পীর সাহেব হযরত কেরামত আলীর (র.) নামে প্রতিষ্ঠিত। এ মাদ্রাসার সুপার অর্থ আত্মসাত ও দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হয়েছেনÑ এমন খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্তকারী সুপার মাহবুবুর রহমান ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ক্রোক কেরামতিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভী হিসেবে যোগদানের পর ১৯৯১ সালে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে সুপার পদে পদায়ন করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, অন্যান্য শিক্ষক নিয়োগে মাদ্রাসার উন্নয়নের ফান্ডের কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বরাদ্দসহ ২২ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেছেন। বরখাস্তকারী সুপার মাহবুবুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পূর্বের কমিটি কর্তৃক হিসাব পরিচালনার জন্য একক ক্ষমতা দিয়েছিল, আমি স্বচ্ছতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছি।
×