ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শিমন পেরেজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শিমন পেরেজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক॥ ইসরায়েলের সদ্যপ্রয়াত নেতা শিমন পেরেজের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এ লক্ষ্যে শুক্রবার জেরুজালেম বিরল সফরে যাবেন আব্বাস। তবে এই অনুষ্ঠানে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে করমর্দন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি আরো বাড়তি কিছু ঘটবে সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাও পেরেজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে কথা রয়েছে। ফিলিস্তিনি একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আব্বাসের যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে”। তবে ওই কর্মকর্তা তার পরিচয় গোপন রাখার শর্ত দিয়েছেন। কেননা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। এরআগে ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শেষবার পশ্চিমা-সমর্থিত এই ফিলিস্তিনি নেতা জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন। ইসলায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাসস্থানে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের উপস্থিতিতে আলোচনায় অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে ছিল সেই সফর। হিলারি ক্লিনটন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। আব্বাস ও নেতানিয়াহু ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর শেষবার প্যারিসে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলনে প্রকাশ্যে করমর্দন করেছিলেন। শিমন পেরেজের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা জড়ো হয়েছেন। লাখো মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেরেজ তেল আবিবের একটি হাসপাতালে বুধবার ৯৩ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দুই সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পেরেজ। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর পেরেজ দুইবার প্রধানমন্ত্রী ও একবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ফিলিস্তিনের সঙ্গে ১৯৯৩ সালে শান্তি চুক্তির পরের বছর ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন ও ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। সরকারের দায়িত্ব ছাড়ার পর জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন পেরেজ। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে চলা পেরেজ সেন্টার ফর পিসের কর্মকাণ্ডেই সময় ব্যয় করতেন বেশি। বেসরকারি এ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। পেরেজ প্রায়ই তার বক্তৃতায় ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলিদের ‘দাবি কমানোর’ প্রয়োজনের কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলের ‘নিকটতম প্রতিবেশী’ উল্লেখ করে পেরেজ একবার বলেছিলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের উচিৎ একে অপরের ‘সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু’তে পরিণত হওয়া।
×