ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজব হলেও গুজব নয়

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আজব হলেও গুজব নয়

একটি সুইয়ের চমক! সাইবেরিয়ার একটি গুহায় বিজ্ঞানীরা ৫০ হাজার বছরের পুরনো একটি সুই খুঁজে পেয়েছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, সেটি এখনও ব্যবহার উপযোগী রয়েছে। আবিষ্কারের পর পরীক্ষাগারে নিয়ে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, প্রাচীন এক পাখির হাড় দিয়ে সুইটি তৈরি করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুইটি তৈরি করে মানব জাতির বিলুপ্ত প্রজাতি ডেনিসোভানরা। আর এটি পাওয়া গেছে রাশিয়ার ডেনিসোভা গুহায়। সেখানে গত তিন দশক ধরে খননের কাজ চলছে। নভোসিবিরস্কের ইনস্টিটিউট অফ আর্কিওলজির প্রধান প্রফেসর মিখাইল শানকভ বলেন, ‘বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চমক লাগানো এক আবিষ্কার এটি। হাড়ের তৈরি এই সুঁই মানব ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাচীন। এর বয়স ৫০ হাজার বছর।’ সে সময়ের ডেনিসোভান মানুষরা ধারণার বাইরে বুদ্ধিমান ছিল, এই আবিষ্কার সেটাই প্রমাণ করে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ডেনিসোভা গুহা খনন প্রকল্পের প্রধান ড. মাকসিম কজলিকিন বলেন, ‘এটা ডেনিসোভা গুহায় পাওয়া সবচেয়ে বড় সুই। এর আগেও কিছু সুই পেয়েছিলাম আমরা, কিন্তু সেগুলো ছিল ছোট।’বিশেষজ্ঞরা এটা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ওই সুই তৈরি করেছিল ডেনিসোভান পূর্বপুরুষরা। প্রাচীন মানব প্রজাতি ডেনিসোভানরা ছাড়াও হোমো সেপিয়েন্স, নিয়েনডারথালরা ওই গুহা ব্যবহার করেছে প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার বছর আগে থেকে। ২০০৮ সালে গুহাটিতে এক তরুণী বসবাস করত বলে প্রমাণ পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হয় ওই তরুণী ৪১ হাজার বছর আগে গুহাটিতে ছিল। তখন সেখান থেকে প্রায় ৪০ হাজার বছর আগের একটি ব্রেসলেট পাওয়া যায়। এতে এমন একটি গর্ত করা ছিল যা বর্তমান সময়ে ড্রিল দিয়ে গর্ত করার মতো। সে সময়ে এ ধরনের প্রযুক্তি কীভাবে পেল গুহা মানবরা, বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে বিজ্ঞানীদের। আর ৫০ হাজার বছরের পুরনো সুই যে প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়, সেটিও ভাবনার বিষয় বিজ্ঞানীদের জন্য। মজার ব্যাপার হলো, এটি এখনও ব্যবহার উপযোগী! আংটি জানাবে প্রিয়জনের হৃদস্পন্দন শিরোনাম পড়ে আপনি হয়ত ভাবছেন- একটি আংটির এত গুণ! হাজার মাইল দূর থেকেও লাইফ পার্টনারের হৃদস্পন্দন স্পষ্ট উপলব্ধি করাবে। সত্যি কি সম্ভব? হ্যাঁ, সত্যি। প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান ‘টাচ’ এবার নিয়ে এসেছে এমন একটি আংটি, যেটি ব্যবহার করে আপনি শত বা হাজার মাইল দূরে থাকলেও আপনার পার্টনারের হৃদস্পন্দন সঠিকভাবেই জানতে পারবেন। বলা হচ্ছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে স্পেশাল আংটি। ‘টাচ এইচ রিং’ নামের এই আংটি আপনার প্রিয়জনের হৃদস্পন্দন পাঠাতে বা গ্রহণ করতে পারবে। এর জন্য যা করতে হবে, তা হলো স্মার্টফোনে এ সংক্রান্ত এ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এরপর আংটির সঙ্গে ওই এ্যাপ সংযুক্ত করতে হবে। আর আপনার প্রিয়জনের প্রোফাইলটাও যোগ করতে হবে এ্যাপে। আপনি ও আপনার পার্টনারের আঙুলে থাকতে হবে আংটিটি। এরপর যখনই আপনি যতদূর থেকেই ওই আংটিতে আলতো চাপ দেবেন, তখন প্রিয়জনের হৃদস্পন্দন উপলব্ধি করতে পারবেন। মজার ব্যাপার তাই না? প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এই বিশেষ আংটিগুলো স্টেইনলেস স্টিল, রোজ গোল্ড, মূল্যবান নীলা পাথর এসব দিয়ে তৈরি। আর প্রচলিত স্বর্ণের তুলনায় এটি বেশ শক্ত, দাগ বা পানি নিরোধক। শুধু তাই নয়, এতে আছে একটি ব্যাটারি, চার্জিং কানেকটর, মাল্টি ডাইমেনশনাল মাদারবোর্ড, সেন্সর ও একটি ফিজিকাল ফিডব্যাক মোটর। মাত্র ৩.৮ মিলিমিটার মোটা ও ১২.১ মিলিমিটার চওড়া এই ছোট আংটিতে এতসব চমক যেহেতু আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই এর দামও চড়া। রোজ গোল্ডে তৈরি আংটির মূল্য ধরা হয়েছে ৩ হাজার ডলার। স্টেইনলেস স্টিলের আংটির দাম হবে ৬০০ ডলার। আগামী নবেম্বর থেকে বাজারে আসবে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের এই আংটি। আহমেদ শরীফ
×