ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুনিয়া কাঁপানো দশ বিচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দুনিয়া কাঁপানো দশ বিচ্ছেদ

এলিজাবেথ টেইলর-রিচার্ড বার্টন ১৯৬৪ সালে ‘ক্লিওপেট্রা’ ছবির সেটে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন তারা। ছবির সেটেই পরস্পরের প্রেমে পড়েন। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সময় দুজনই ছিলেন বিবাহিত। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই চতুর্থ স্বামী এডি ফিশারের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে টেইলরের আর বার্টনও তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। সে বছরই বিয়ে করেন এই তারকা জুটি। এরপর দীর্ঘ ১০ বছর সংসার করেছেন তারা। ১৯৭৪ সালে অল্পবয়সী অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে বার্টনের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটান টেইলর। কিন্তু বছর না ঘুরতেই আবার একে অপরের জন্য টান অনুভব করতে থাকেন দুজন। ফলে ১৯৭৫ সালে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা! কিন্তু সে বিয়েও টেকেন। ডেমি মুর-ব্রুস উইলিস তারকা দম্পতি ডেমি মুর ও ব্রুস উইলিসকে বলা হতো হলিউডের আদর্শ দম্পতি। ১৯৮৭ সালে ভালবেসে একে অপরকে বিয়ে করেন তারা। ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে এসেছে তিন কন্যাসন্তান। কিন্তু হুট করেই উইলিসের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন মুর। পরবর্তীতে তার চেয়ে ১৫ বছরের ছোট আরেক অভিনেতা এ্যাশটন কুচারকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সে সম্পর্কও ছয় বছরের বেশি টেকেনি। মুরকে ভুলতে পারেননি বলেই নাকি উইলিস এখনও বিয়ে করেননি। তবে দুজনের বন্ধুত্ব আজও টিকে আছে। নিকোল কিডম্যান-টম ক্রুজ-কেটি হোমস ১৯৯০ সালে ‘ডেইজ অফ থান্ডার’ ছবির শূটিং করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন দুজন। সে বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন টম ক্রুজ এবং নিকোল কিডম্যান। টম ক্রুজের এটি দ্বিতীয় বিয়ে হলেও নিকোল কিডম্যানের প্রথম বিয়ে ছিল এটি। কিন্তু ২০০১ সাল থেকেই তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। পরবর্তীতে সঙ্গীতশিল্পী কিথ আরবানকে বিয়ে করেন কিডম্যান। আর ক্রুজ বিয়ে করেন আরেক অভিনেত্রী কেটি হোমসকে। ২০০৬-এর নবেম্বর মাসে বেশ ঘটা করেই বিয়ে হয় টম ক্রুজ-কেটি হোমস জুটির। কিন্তু সে সম্পর্কও টেকেনি তাদের। ব্র্যাড পিট-জেনিফার এ্যানিস্টন টিভি তারকা জেনিফার এ্যানিস্টন ও অভিনেতা ব্র্যাড পিট একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ১৯৯৮ সালে। সে বছরেই বিয়ে সেরে ফেলেন তারা। এর আগে দুজনেরই একাধিক প্রেমের অভিজ্ঞতা থাকলেও এটি ছিল দুজনেরই প্রথম বিয়ে। হলিউডের অন্যতম সেরা জুটির আখ্যা পেয়েছিলেন তারা। কিন্তু চার বছরের মাথায় এসে এ সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে গড়ায়। ‘মিস্টার এ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ ছবির সেটে কাজ করতে গিয়ে এ্যাঞ্জেলিনা জোলির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন পিট। পরবর্তীতে জোলিকে বিয়ে করেন পিট এবং ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ জুটি আরও বেশি জনপ্রিয়তা পায় হলিউডে। কিন্তু সম্প্রতি এ জুটিও এখন হাঁটছে বিচ্ছেদের পথেই। ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট-রবার্ট প্যাটিনসন ২০০৮ সালে ‘টোয়াইলাইট’ ছবির শূটিং করতে গিয়েই একে অপরের সঙ্গে পরিচয়। পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। চার বছরের সম্পর্কে হলিউডের অন্যতম আকর্ষণীয় জুটি হিসেবে পরিচিতি পান তারা। কিন্তু ২০১২ সালে ‘স্নো হোয়াইট এ্যান্ড দ্য হান্টসম্যান’ ছবির পরিচালকের সঙ্গে স্টুয়ার্টের একটি ঘনিষ্ঠ ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতে থাকে তাদের। ২০১৩ সালে সম্পর্কের পাট চুকিয়ে ফেলেন এই তারকা জুটি। শেষ খবর হলো, এ মুহূর্তে সঙ্গীতশিল্পী টুইগের সঙ্গে প্রেম করছেন প্যাটিনসন। বেন এ্যাফ্লেক-জেনিফার গার্নার ২০০৩ সালে ‘ডেয়ারডেভিল’ ছবির সেটে পরস্পরের কাছে আসেন তারা। প্রেমের এ সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয় ২০০৪ সালের দিকে। ২০০৫-এ এসে বিয়ের সিদ্ধান্ধ নেন এ জুটি। এর আগে সঙ্গীতশিল্পী জেনিফার লোপেজের সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বেন এ্যাফ্লেকের এটিই প্রথম বিয়ে, যদিও গার্নারের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। এ দম্পতির ঘরে জন্ম নিয়েছে তাদের তিন কন্যাসন্তান। কিন্তু ২০১৫ সালে এসে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন গার্নার। সন্তানদের দেখে রাখার সহকারী মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এ্যাফ্লেক, এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের দাম্পত্যের ইতি টানেন গার্নার। যদিও সন্তানদের কারণে এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাদের মাঝে। হৃত্বিক রোশন-সুজান খান ২০০০ সালের শেষের দিকে কোটি কোটি নারীভক্তের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে ছোটবেলার বান্ধবী সুজান খানকে বিয়ে করেন বলিউড তারকা হৃত্বিক রোশন। বিয়ের আগে চার বছর চুটিয়ে প্রেম করেন তারা। বলিউডের অন্যতম আদর্শ জুটি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন এ দুজন। তাদের ঘরে রয়েছে দুই পুত্র হৃহান ও হৃদান। কিন্তু ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ১৭ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটান তারা। বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে ‘কাইটস’ ছবির নায়কা বারবারা মোরি ও অভিনেত্রী কাঙ্গানা রানাউতের সঙ্গে হৃত্বিকের সম্পর্কের বিষয়টি উঠে এলেও এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি দুজনের কেউ। তবে সন্তানদের জন্যই দুজনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। জনি ডেপ-এ্যাম্বর হার্ড ২০১১ মালে ‘দ্য রাম ডায়েরি’ ছবির সেটে পরস্পরের প্রতি আসক্ত হন এ দুজন। এক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১২ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মডেল ও অভিনেত্রী এ্যাম্বর হার্ড ও অভিনেতা জনি ডেপ। জনি ডেপের এটি দ্বিতীয় বিয়ে হলেও হার্ডের এটিই প্রথম। তবে চার বছরের মাঝেই তাদের এ সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে গড়ায়। ডেপের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে বিচ্ছেদের আবেদন করেন হার্ড। বিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণের অর্থ যোগাড় করতে নিজের বাড়ি বিক্রি করে দেন ডেপ। পরে সে অর্থ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দান করেন হার্ড। দিপিকা পাড়ুকোন-রণবীর কাপুর-ক্যাটরিনা কাইফ ২০০৮ সালে ‘বাচনা এ্যাই হাসিনো’ ছবির সেটে পরিচয় রণবীর কাপুর ও দিপিকা পাড়ুকোনের। সেখান থেকেই তাদের প্রেমের সূত্রপাত। কিন্তু বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। সে সময় বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে আরেক বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে রণবীরের সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়। কিন্তু এ ব্যাপারে দীর্ঘ ছয় বছর মুখ খোলেননি কেউ। অবশেষে ২০১৫ সালে সম্পর্কের কথা গণমাধ্যমকে জানান রণবীর। এমনকি তাদের বাগদানের ঘোষণাও দেন তারা। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসে তাদের সম্পর্কচ্ছেদের কথা শোনা যায়। অন্যদিকে দিপিকা পাড়ুকোন এ মুহূর্তে চুটিয়ে প্রেম করছেন বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংয়ের সঙ্গে। সালমান খান-ঐশ্বরিয়া রাই ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লিলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবির সেটে পরস্পরের প্রেমে পড়েন বলিউড তারকা সালমান খান ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই। বলা হয়ে থাকে বলিউডে ঐশ্বরিয়ার প্রথম প্রেম ছিল সেটি। সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেম ছিল সে সময়ের অন্যতম এক আলোচিত ঘটনা। কিন্তু তিন বছরের বেশি টেকেনি তাদের সে সম্পর্ক। সালমানের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সম্পর্কের ইতি টানেন ঐশ্বরিয়া। বিডিনিউজ
×