ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে পরিবেশমন্ত্রী

রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না

সংসদ রিপোর্টার ॥ সুন্দরবনের অদূরে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হবে মর্মে বিভিন্ন সংবাদ ও প্রচারমাধ্যমে যে প্রচার চালানো হচ্ছে সেটির বিজ্ঞানসম্মত কোন ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। বৃহস্পতিবার সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ দাবি করেন। একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের ফলে সুন্দরবন অঞ্চলে কোন ক্ষতি হবে না। কারণ বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থান প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ সুন্দরবনের কাছে হওয়ায় আলোচ্য প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিদ্যুত কেন্দ্রটি ‘আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি’র হবে এবং এ প্রস্তাবিত বিদ্যুত কেন্দ্রের ‘কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড অপারেশন ফেজ’-এ সুন্দরবনের ওপর যেন কোন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, আলোচ্য প্রস্তাবিত বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে নির্গত বায়ুর মানমাত্রা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭ এবং ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গাইডলাইনস’-এ উল্লিখিত নির্ধারিত মানমাত্রার মধ্যে থাকবে, কোন ধরনের আনট্রিটেড অথবা হিটেড ওয়াটার নদীতে নির্গমন করা হবে না এবং ইটিপিতে পরিশোধিত পানি যথাসম্ভব পুনঃব্যবহার করা হবে। তিনি জানান, প্রস্তাবিত বিদ্যুত কেন্দ্রে শূন্য (০) দশমিক ৬ শতাংশের চেয়েও কম সালফারযুক্ত উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লা ব্যবহার করা হবে। তিনি জানান, বিদ্যুত কেন্দ্রের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মিটিগেশন মেজার্স হিসেবে ইএসপি (ইলেক্ট্রো স্ট্যাটিক প্রিসিপিটেটর), লো এনওএক্স বার্নার, এফজিডি (ফ্লু গ্যাস ডিজালফিউরাইজেশন), ২৭৫ মিটার উঁচু চিমনি ইত্যাদি এবং পানিদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মিটিগেশন মেজার্স হিসেবে ইফফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি), সেটলিং পন্ড, ওয়াস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ডব্লিউডব্লিউটিপি), ডি-সেলিনাজন প্লান্ট, এপিআই অয়েল ওয়াটার সেপারেটর, ওয়াটার রিসাইক্লিং এ্যান্ড রিইউজ ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হবে। কাজেই ইআইএ প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত মিটিগেশন মেজার্স যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী সংসদকে জানান, সরকার শব্দদূষণের ভয়াবহতা অনুধাবন করে শব্দদূষণ এবং এর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও সকল অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ লক্ষ্যে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে সরকারী অর্থায়নে ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারমূলক কর্মসূচী’ গ্রহণ করা হয়েছে।
×