ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়াশিংটনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

জঙ্গী মদদদাতাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জঙ্গী মদদদাতাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১/১১-এ গঠিত কেয়ারটেকার সরকার আমলের সঙ্কটের সময় প্রবাসীদের সাহসী ভূমিকার কথা আমি কখনও ভুলব না। সে সব দিনের দুঃসহ স্মৃতি আমাকে গভীর কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করে প্রবাসীদের কাছে। সে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ’খানেক প্রবাসী আমার সহযাত্রী হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ধ্যান-ধারণার বিস্তার ঘটায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও সরকারের সেবার আওতায় এসেছে। প্রশাসনে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আইনের শাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন এখন আন্তর্জাতিক মহলেও উচ্চারিত হচ্ছে। এসব তথ্য মার্কিন কংগ্রেস, স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ আন্তর্জাতিক মহলকে সবিস্তারে অবহিত করতে একেকজন প্রবাসীকে রাষ্ট্রদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থ সহায়তা ও নির্দেশ দিয়ে যারা দেশে জঙ্গীবাদে মদদ যোগাচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও পেট্রোলবোমা মেরে নিরীহ জনগণকে পুড়িয়ে মারছে তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, চিহ্নিত একটি মহল বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি সহ্য করতে পারছে না। তারাই নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওদের অপপ্রচারে যাতে আন্তর্জাতিক মহল বিভ্রান্ত না হয় সে জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত সকল প্রবাসীকে সোচ্চার থাকতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভার্জিনিয়ায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসার কাছে টাইসন কর্নারে অবস্থিত রিজ কার্লটন হোটেলের মিলনায়তনে জড়ো হন ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার আওয়ামী পরিবারের কয়েক শ’ নেতাকর্মী। তারা সকলে বিভিন্ন স্থান থেকে ওই হোটেলে গমন করেন শেখ হাসিনাকে ৭০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। কিন্তু সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুর জন্য শেখ হাসিনা জন্মদিনের সকল আড়ম্বরতা পরিহার করেন। অধিকন্তু তিনি নেতাকর্মীর উদ্দেশে উল্লেখ করেন, বাঙালী সংস্কৃতি লালন ও বিকাশে আজীবন সোচ্চার থাকা এই মানুষটির চলে যাওয়ায় গোটা জাতির সঙ্গে আমিও ব্যথিত। আমার বড় ইচ্ছা ছিল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠান তার (সৈয়দ শামসুল হক) নেতৃত্বে করার। কিন্তু তা আর হলো না। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সৈয়দ হকের মৃত্যুর কারণে জন্মদিনের কেক কাটার সকল আয়োজনও বাতিল করা হয় শেখ হাসিনার নির্দেশে। কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সমবেত নেতাকর্মীর কাছে এসে সরাসরি মঞ্চে গিয়ে বক্তব্য শুরু করেন শেখ হাসিনা। প্রায় পঞ্চাশ মিনিট বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় শেখ হাসিনা আবারও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর খুনী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিল এবং ক্ষমতা আঁকড়ে ছিল হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। অপরাধীদের বিচার হচ্ছে। জাতির জনকের হত্যার বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারসহ সকল হত্যাকা-ের বিচার আইনী প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে। দেশবিরোধীদের ঠাঁই আর স্বাধীন বাংলাদেশে হবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশ সরকার যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারী সেবা পৌঁছে দেবার অভিপ্রায়ে দেশের ৪ হাজার ৫৫০ ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এ পোর্টালের সংখ্যা প্রায় ২৫০০০। দেশের সব ক’টি উপজেলাকে আনা হয়েছে ইন্টারনেটের আওতায়। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ এবং ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লাখে উন্নীত হয়েছে। সেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে চালু করা হয়েছে ই-পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং। সরকারী ক্রয় প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পাদন করার বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয়েছে। ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্কের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শেষে দেশে ৪-জি নেটওয়ার্কের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মহাকাশে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার সকল ব্যবস্থা সম্পন হয়েছে। বিদ্যুত খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুত খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৩২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুত সংযোজন, যার ফলে বিদ্যুতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে ৬২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সঙ্গে মাথাপিছু বিদ্যুত উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৩৪৮ কিলোওয়াট ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে। নতুন বিদ্যুত সংযোগ প্রদান করা হয়েছে ৩৫ লাখ গ্রাহককে। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ৬৫ বিদ্যুত কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রবাসী শ্রমিকদের উন্নয়ন, শিল্প ও বাণিজ্য খাতে সফলতা অর্জনসহ নানা বিষয়ে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের আরও বেশি করে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। তাই পরিবারকে তেমন সময় দেয়া হয়ে ওঠে না। ওয়াশিংটনে বসেও প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা অফিস করে দেশের জরুরী কাজ সমাধান করেছি। বাংলাদেশকে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার সঙ্কল্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আমার আর কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। শুধু একটাই আশা, দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করা। এ ব্যাপারে আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করি। বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় চলে যান। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকেও নেতাকর্মীরা এসেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ড. সিদ্দিকুর রহমান, নিজাম চৌধুরী, আব্দুস সামাদ আজাদ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের জাকারিয়া চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী বাকি। বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদও ছিলেন সুধীজনের মধ্যে। এদিকে বাসস জানায়, বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা রুজু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব রাজনৈতিক মামলা নয়, এসব জনগণকে পুড়িয়ে মারার মামলা। শেখ হাসিনা বলেন, যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। এছাড়া যারা অপরাধীদের সহায়তা করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে তাদেরও অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। এ সময়ে শত শত দলীয় সমর্থক বিচারের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকে। বিদেশীদের ওপর নির্ভর ও দেশের রাজনীতি নিয়ে তাদের কাছে সারবস্তুহীন ঢালাও অভিযোগ করার জন্য বিএনপি নেত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, জনগণের শক্তির ওপর তাদের কোন আস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা, পাকিস্তানী শাসকদের রুজু করা মামলা মোকাবেলা এবং স্বাধীনতার আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার জন্য তার মায়ের যে অবদান তা স্মরণ করেন। একই সঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ কিভাবে পুনর্গঠন করেছেন, স্বাধীনতা উত্তর দেশের অর্থনীতি পুনর্নির্মাণ এবং ওআইসি ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশের বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি তিনি যে অনুধাবন করেছিলেন সেসব কথাও স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু জমির সীমানা নির্ধারণ এবং মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ছিটমহল চিহ্নিতকরণ এবং মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে নৌসীমার মীমাংসার কাজ শুরু করেছিলেন। এছাড়া স্বাধীনতার পর তৎকলীন শেল ওয়েল কোম্পানির কাছ থেকে গ্যাসফিল্ড কিনে নেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ গঠনে তার দূরদর্শী পদক্ষেপেরই পরিচায়ক। তিনি বলেন, অবকাঠামো থেকে শুরু করে অর্থনীতির সকল মৌলিক কাজের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার সরকারের মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি যদি বেঁেচ থাকতেন তাহলে বিশ্বে বাংলাদেশ উদাহরণ তৈরি করতে পারত। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর তার বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, বিদেশে প্রায় ৬ বছর তিনি উদ্বাস্তু জীবন কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর জেনারেল জিয়ার সামরিক জান্তাদের বিভিন্ন বাধাবিঘেœর মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি নিজ দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে কঠোর পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনুসারীদের উল্লাস ধ্বনির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, বড় নেতারা ভুল করেছে তবে তৃণমূল কর্মীরা ভুল করেনি। অবৈধভাবে জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখল ও বিএনপি গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়া সেনা আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। যে দল অবৈধভাবে গঠিত হয়েছে সেই দল জনগণের কল্যাণ করতে পারে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জিয়ার পুত্র (তারেক) অর্থ পাচারকারী, যা এফবিআই’র তদন্তে প্রমাণিত। তিনি বলেন, আমরা কখনও অসৎ পথে যাইনি। আমরা আমাদের নিজেদের ভাগ্য গড়ার চিন্তা করছি না। আমাদের চিন্তা কিভাবে জনগণের কল্যাণ হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী শাসনকালে জিয়া, খালেদা ও এরশাদ আমলে সরকার ছিল সবচেয়ে দুর্বল এবং এই শাসকরা ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন অথবা ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা ইস্যু উত্থাপনে কখনই সাহস পায়নি। ‘তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য গড়ে তোলায় ব্যস্ত ছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের নীতি ছিল দেশকে ভিক্ষুকে পরিণত করা এবং অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া। স্লোগান ও করতালির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ৬৮ বছর পর তার সরকার ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় করে এবং প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে শান্তিপূর্ণভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করে; যা বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রী কিভাবে তার সরকার খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে, ভয়ানক বিদ্যুত সঙ্কট সমাধান করেছে, পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করছে, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে এবং দেশকে কিভাবে ডিজিটালাইজেশনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সে বিষয় উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের ক্ষেত্রে তার চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাংক এ ব্যাপারে দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করছে। তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের জন্যই সবকিছু করেছি; যখনই আমি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি আমি জনগণের সমর্থন পেয়েছি।
×