ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে বনসাই প্রদর্শনী

শিল্পের নান্দনিকতা ॥ টবে বসানো বট পাকুড়

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শিল্পের নান্দনিকতা ॥ টবে বসানো বট পাকুড়

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ ঘরের ভেতর টবে বসানো আস্ত সবুজ গাছ। বাংলাবট, লাইকড়, তেঁতুল, কামীনি প্রভৃতি সব গাছের সমারোহ। এ যেন শিল্পীর ছোঁয়ায় একেকটি নান্দনিক বৃক্ষের সমাহার। এসবই হলো বনসাই। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে চার দিনব্যাপী শুরু হওয়া এ বনসাই প্রদর্শনীতে শুরু থেকেই ভিড় বৃক্ষ প্রেমীদের। রাজশাহী বনসাই সোসাইটির আয়োজনে এবার ১৭তম এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে স্থানীয় ৬৫ শিল্পীর ২৪০ দুর্লভ বনসাই। বেলা ১১টায় নগরীর মণিবাজার চত্ব¡রে এ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. নূরুল হোসেন চৌধুরী ও বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। পরে তারা বনসাই ঘুরে দেখে মুগ্ধ হন। জানান প্রকৃতির প্রতি ভালবাসার কথা। আয়োজকরা প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা থেকে জন্ম বনসাই চর্চার। হাজার বছর থেকে চলে আসছে বনসাই চর্চা। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এর পরিধি, সৌন্দর্য্য আর আধুনিকতা। সবমিলিয়ে বনসাই চর্চা এখন আধুুনিক ও মননশীল শিল্পে পরিণত হয়েছে। এর নান্দনিকতা তৃপ্তি যোগায় মনে। একটি জীবন্ত শিল্পকে টিকিয়ে রাখা খুবই কষ্টকর হলেও জীবন্ত শিল্পকে ধরে রাখার জন্য শ্রম ও ভালবাসার মধ্যে গড়ে তোলায় হলো বনসাই। আস্ত একটি বটগাছ টবে আটকানো, বড় ধরনের তেতুলগাছ স্থান পেয়েছে ঘরের কোনের ছোট্ট টবে। অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরা এ বনসাই আনন্দ দেয় মানুষের হৃদয় ও মনকে। বনসাই প্রেমীদের মতে ‘প্রকৃতি তার বিচিত্র রূপ নিয়ে সর্বদা আকর্ষণ করে, সেই প্রকৃতির পুরো রহস্যটায় পাওয়া যায় একটি জীবন্ত বনসাইয়ের মাধ্যমে। বনসাই এমনই এক শিল্পকর্ম যার সৌন্দর্য্য প্রকৃতির সঙ্গে একই সীমারেখায় মিশিয়ে দিতে সক্ষম। উত্তরাঞ্চলের রাজশাহীতেও গড়ে উঠেছে এ শিল্পকর্ম নিয়ে চর্চাকেন্দ্র। রাজশাহী বনসাই সোসাইটি এ জীবন্ত শিল্প ধরে রাখতে আর চর্চার পরিধি বাড়াতে আয়োজন করছে নানাভাবে। নিচ্ছে নানা উদ্যোগ। ১৬ বছর ধরে রাজশাহী বনসাই সোসাইটি এগিয়ে চলেছে তাদের চিত্রকর্ম নিয়ে। এবার শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী ১৭তম বনসাই প্রদর্শনী। আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। এবারের প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ২৪০ বনসাই। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাসান আজিজুল হক বলেন, বনসাই শিল্প এখন ক্রমশ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
×