ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গণমাধ্যমসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ জরুরী’

প্রকাশিত: ০১:০৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গণমাধ্যমসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ জরুরী’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের ভূমিকা মুখ্য হলেও গণমাধ্যমসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ জরুরী বলে মনে করন বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে হলে উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদি শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়তে হবে। কোন অবস্থাতেই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেয়া যাবে না। দেশ বিরোধ দানব যতোই শক্তিশালী হোক না কেন সকলের সম্মিলিত প্রতিরোধে তারা নিশ্চিহ্ন হতে বাধ্য। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনের করণীয় নির্ধারণে এই সভার আয়োজন করা হয়। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সামাজিক ঐক্য গড়ে ওতালার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মৌলবাদের একটি সহিংস রূপ হলো জঙ্গিবাদ। এই জঙ্গিবাদ শুধু সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বহিনী দিয়ে নির্মূল সম্ভব নয়, এটি নির্মূলে সর্বসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা একটি স্বাধীন কমিশন। আইন আপনাদের মুক্ত বিচরণের ক্ষমতা দিয়েছে। সঠিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরুন। এ ক্ষেত্রে আপনারা কোনো বাধার সম্মুখীন হলে গণমাধ্যম আপনাদের পাশে থাকবে। ডেইলি অভজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী আরো বলেন, ক্ষমতাবানরাই বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। শুধু সরকারী লোকজনই যে ক্ষমতাবান তা নয়। সমাজের অনেক বিত্তবানরা অর্থ সম্পদের প্রভাব খাটিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকেন। যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এরকম কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে আমরা মনে করি। আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিশিষ্ট কলামিস্ট আবুল মকসুদ বলেন, দুর্বলের পক্ষে কথা বলে সবলের প্রতি কতটা সফল হতে পারেন সেটা আপনাদের চ্যালেঞ্জ। কারণ যুগ যুগ ধরে দুর্বল জাতিগোষ্ঠী নির্যাতিত হয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে সবলরা অপরাধ করে পার পেয়ে যায়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক বলেন, প্রগতিশীল আন্দোলনের ফসল হলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাই ১৬ কোটি মানুষের কাছে আমাদের জবাবদিহিতা রয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের জন্য রাষ্ট্র রয়েছে। আমাদের কাজ হলো সন্ত্রাসীদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো। এজন্য গণমাধ্যম ও জনগণের সহযোগিতা আমাদের দরকার। মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক রাহাত খান, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, ৭১ টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মোজাম্মেল বাবু, দেশ টেলিভিশনের সুকান্ত গুপ্ত অলক প্রমুখ।
×