ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হান্নান শাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হলো

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

হান্নান শাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হলো

অনলাইন রিপোর্টার॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মহাখালী ডিওএইচএস মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। এরআগে বুধবার রাতে আ স ম হান্নান শাহর মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি তার মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানান । দলীয় চেয়ারপারসন মরহুমের বাসায় পৌঁছানের পর সেখানে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। খালেদা জিয়াও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আফরোজা আব্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখতে সন্ধ্যার পর মরহুমের বাসভবনে শত শত নেতাকর্মী জড়ো হন। সেখানে আসেন সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. নূর উদ্দিন খানও। এর আগে মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান হান্নান শাহ। বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের এক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তার মরদেহ। মরহুমের ছোট ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান ও মেয়ে শারমিন হান্নান সুমি মরদেহের সঙ্গে ছিলেন। লাশ গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে ছিলেন হান্নান শাহর বড় ছেলে শাহ রেজাউল হান্নান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ। মরদেহ আনা হয় মরহুমের মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসায়। হান্নান শাহর মৃত্যুতে মঙ্গলবার থেকে ৪ দিনের শোক ঘোষণা করেছে বিএনপি। শোকের দ্বিতীয় দিনে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের অফিসে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খোলা শোক বইতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সই করেন। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা উন্মুক্ত থাকবে। হান্নান শাহর নিজ এলাকা গাজীপুরেও পালন করা হচ্ছে শোক। বিভিন্ন মসজিদে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দলীয় নেতাকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীরা মরদেহে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তার মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। হান্নান শাহর বড় ছেলে শাহ রেজাউল হান্নান জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ও জোহরের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা হবে। পরে তার মরদেহ আবারও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। শুক্রবার সকালে সড়কপথে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হবে তার মরদেহ। সকাল ৯টায় জয়দেবপুর রাজবাড়ী মাঠে, সকাল সাড়ে ১০টায় কাপাসিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ও জুমার পর নিজগ্রাম চালাবাজার উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে মরহুমের বাবার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে।
×