ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টি২০ সিরিজ ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

টি২০ সিরিজ ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ  করল পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সরফরাজ আহমেদ কি জাদু জানেন, নইলে একটা দল সহসা এভাবে বদলে যায় কি করে? টি২০ অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডে। সেখানে ইয়ন মরগানদের হারিয়ে নেতৃত্বের শুভসূচনা। তবে এবার যা করলেন সেটিকে অবিস্মরণীয়ই বলতে হবে। আরব আমিরাতে তিন ম্যাচের টি২০তে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ‘হোয়াইটওয়াশে’র লজ্জায় ডোবালেন সরফরাজ-ইমাদ ওয়াসিমরা। অথচ এশিয়া কাপ টি২০, টি২০ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর তৎকালীন অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির ‘অবসর নাটক’ নিয়ে কত ঘটনাই না ঘটে গেছে। ভুল শুধরে এত দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানো কেবল ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তানের পক্ষেই সম্ভব! ৯ উইকেট, ১৬ রানের পর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ৮ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে পাকিরা। ম্যাচ ও সিরিজসেরা হয়েছেন তরুণ স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। আবুধাবিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে মাত্র ১০৩ রানের পুঁজি পায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ! জবাবে ১৫ ওভার ১ বলে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ৪০ রানের মধ্যে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় পাকিরা। শারজিল খান (১১) ও খালিদ লতিফকে (২১) ফিরিয়ে দেন অভিষিক্ত পেসার কেসরিক উইলিয়ামস। তবে বাবর আজম ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। ২৪ বলে ২৭* রান করেন বাবর। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেয়া মালিক ৩৪ বলে অপরাজিত ৪৩। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে উইলিয়ামস ১৫ রানে নেন ২ উইকেট। তার আগে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভাল হয়নি উইন্ডিজের। নবম ওভারে ৩১ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি! ইমাদের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের তিন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস (৫), চ্যাডউইক ওয়ালটন (০) ও ডোয়াইন ব্রাভো (১১) ফেরেন বোল্ড হয়ে। মোহাম্মদ নওয়াজকে ছক্কা হাঁকানোর পর তার পুনরাবৃত্তি করতে গিয়ে ফিরে যান নিকোলাস পুরান (১৬)। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ৩৭ রানের জুটিতে দলের সংগ্রহ এক শ’ পার করেন মারলন স্যামুয়েলস ও কাইরন পোলার্ড। ৭.২ ওভার স্থায়ী জুটিতে ১৭ বলে ১৬ রান করে পোলার্ড। ৫৯ বলে তিনটি চারে ৪২ রান আসে স্যামুয়েলসের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের সব বোলার ওভারপ্রতি ৬ রানের নিচে দেন। ধারাবাহিকভাবে ভাল লাইন, লেন্থে বল করে অতিথিদের কম রানে বেঁধে রাখেন তারা। অভিষিক্ত রুম্মান রাইস ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। সাবেক পেসার ওয়াকার ইউনুসের কাছ থেকে টুপি পাওয়া এই বাঁহাতি পেসার ছিলেন এদিন সবচেয়ে হিসেবি। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইমাদ। শারজায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুক্রবার।
×