ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিয় জলেশ্বরীর বুকে শায়িত হলেন সব্যসাচী সৈয়দ হক

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রিয় জলেশ্বরীর বুকে শায়িত হলেন সব্যসাচী সৈয়দ হক

রাজুমোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ জন্মভূমির টানেই কুড়িগ্রামে ফিরে এলেন কবি সৈয়দ শামসুল হক। তিনি শায়িত হলেন তার প্রিয় জন্মভূমির কোলে। তার প্রিয় জলেশ^রীর বুকে। যেন শান্তির ঘুম। ঘুমাও কবি ঘুমাও। শান্তিতে ঘুমাও। না ফেরার দেশের এ চিরনিদ্রা দেখতে হাজার-লাখো মানুষের ভিড়। জীবিত কবির চেয়ে আজ মৃত কবি যেন অনেক শক্তিশালী। অনেক জনপ্রিয়। সবার প্রাণের মানুষ। বুধবার শেষ বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ মাঠ কানায় কানায় ভরা লাখো মানুষে। যেমনটি ভরা ছিল গত বছর ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় এই মাঠে, সেদিন এ কবি ছিলেন তার সফর সঙ্গী। বিকেল সাড়ে ৪টায় মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে কলেজ মাঠের শেষ প্রান্তে ৫টার দিকে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে সমাহিত করা হয়। এর আগে বিকেল ৪টায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, সাবেকমন্ত্রী নানক, কবিপতœী আনোয়ারা সৈয়দ হক, একমাত্র পুত্র তুর্জোসহ নিকট আত্মীয়রা হেলিকপ্টারে করে লাশ নিয়ে কলেজ মাঠে অবতরণ করেন। লাশ রাখা হয় একটি মঞ্চে। সবার আগে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর জেলা পরিষদ প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা জাজশীপ ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। কবির কফিন ফুলে ফুলে ভেসে যায়। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসে রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী জেলার শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী ও সাহিত্যমনা মানুষ। এ যেন ছিল এক মিলন মেলা। কবির জন্ম কুড়িগ্রাম শহরের থানাপাড়ায়। তিনি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার পড় ৯ম শ্রেণীতে ওঠার পর ঢাকায় চলে যান। যিনি তার জীবনের অধিকাংশ লেখায় কুড়িগ্রামকে তুলে এনেছেন। কুড়িগ্রামকে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। তার শেষ ইচ্ছা বাস্তবায়নে কুড়িগ্রামে সমাহিত করা হয়। যে সজনে গাছে লাল রঙের পাখি দেখে কবি এগারো বছরেই কবিতা লিখেছিলেন। সেই কবিতা লাল পাখির মতো ডানা মেলে তাকে নিয়ে গেছে সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই। তিনি বিচরণ করেছেন সংস্কৃতির প্রতিটি পরতে পরতে। তার পায়ের আওয়াজে মুগ্ধ হয়ে গেছেন সাহিত্যপ্রেমীরা। ব্রিটিশ বিরোধী নুরলদীনকে তিনি চিনিয়েছেন কাছ থেকে। তার জলেশ্বরী কুড়িগ্রামকে স্থান করে দিয়েছে সাহিত্যাঙ্গনে। এই সব্যসাচী লেখক সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেও তার অমর গাথা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে চিরদিন। বুধবার তার মরদেহ কুড়িগ্রামে আসবে শুনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ছুটে এসেছেন তাকে এক নজর দেখার জন্য। রাত থেকেই কর্মযজ্ঞ চলছিল। চারদিকে ঘিরে কৌতূহলী মানুষ তার সম্পর্কে জানতে চাইছিল অনেক কিছুই। শহর জুড়ে চলছিল মাইকিং। সাধারণ মানুষ কবিকে ঘিরে করছেন নানান প্রশ্ন। কৈশরে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর অববাহিকায় বেড়ে ওঠা এই মানুষটি তার স্বপ্নের জলেশ্বরী নদীর মাধ্যমে ভীষণভাবে খুঁজে পায় উত্তরের রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন পটভূমিকে। ইতিহাস ও সংস্কৃতির ইতিবৃত্ত। কবির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণে বিকেলে দাফন করা হয়। তার ইচ্ছার মর্যাদা দেয়ায় কবি ১১ মার্চ ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে লিখে গেছেন, ‘আমার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে আপনারা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, এতে আমি আনন্দিত এবং আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার জন্মস্থান আমার শেষ ঘর হবে। এটা যে আমার বহুদিনের ইচ্ছা এবং আমার পরিবার পরিজন সে ভাবে প্রস্তুত। তারাও আপনাদের সিদ্ধান্তে আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আমার সশ্রদ্ধ সালাম রইল।’ কবি পুত্র তুর্জো মরহুমের নামাজে জানাজার আগে বলেন, জলেশ^রী আজ তোমার ছেলে ফিরে এসেছে তোমার কাছে। হৃদয়ের কাছে। ভালবাসার কাছে। প্রিয় জন্মভূমির কাছে। আমি গর্বিত। একসঙ্গে গর্বে বুকফেটে যায় এত মানুষের ভালবাসা দেখে। প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান, তার বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করবার জন্য। সেই সঙ্গে কুড়িগ্রামবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার বাবা খুব খুশি হয়েছে এ মাটিতে শায়িত হতে পেরে। কুড়িগ্রাম সবুজ পাড়ায় অবস্থিত সৈয়দ হকের ছোট ভাইয়ের সহপাঠী গৃহসংস্থান অধিদফতরের অবসরপ্রাপ্ত এস্টিমেটর আবুল ফজল ম-ল জানান, সৈয়দ শামসুল হক যখন কুড়িগ্রামে পড়তেন, তখন রিভারভিউ স্কুল নাম ছিল না। বর্তমানে প্রগতি সংসদ সংলগ্ন জেলা শিল্পকলা একাডেমির ভবনের জন্য নির্ধাতির স্থানের পাশেই ছিল এম ই স্কুল (মিডিল ইংলিশ স্কুল) যা ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত ছিল। পাশেই ছিল এইচ ই স্কুল (হাই ইংলিশ স্কুল)। যা ৭ম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছিল। সৈয়দ হক তখন আমাদের সঙ্গে এই দুটি স্কুলে পড়তেন। পরে সরকার হাই ইংলিশ স্কুলটি সরকারীকরণ করে। নদী ভাঙ্গনের সম্ভাবনা থাকায় সেটি বর্তমান রিভারভিউ স্কুলে স্থানান্তরিত করে নামকরণ পাল্টে ফেলা হয়। সৈয়দ হকের বাড়িতে আমি প্রায়ই যেতাম। তাদের বসতবাড়িতে ছিল হোমিও প্যাথিক রিসার্চ সেন্টার। তিনি চুপচাপ থাকতে পছন্দ করলেও, দুরন্তপনাও করতেন। আমরা যখন ১৯৫৪ সালে এইচ ই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করি তখন তিনি ঢাকার বাসা লক্ষ্মীপুরে চলে যান। যারা শ্রদ্ধা জানায় ॥ তার কফিনে ঢল নামে সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যম কর্মী, জেলা প্রশাসনের লোকজন, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী লোকজন। সবার আগে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর জেলা পরিষদ প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, পুলশ সুপার, জেলা জাজশীপ ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাব, তরুণ লেখক ফোরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। কবির কফিন ফুলে ফুলে ভেসে যায়। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসে রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী জেলার শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী ও সাহিত্যমনা মানুষ। রংপুর বিভাগীয় সাহিত্য পরিষদ, রংপুর রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজ, রংপুর শিক্ষক পরিষদ প্রমুখ। কুড়িগ্রামের কবি তুমি, সারাবিশ^ জানে তোমার নাম/সাহিত্য সাধনা দ্বারা এনেছ সুনাম/তোমার লেখায় ফুটে উঠেছে বাঙালীর কষ্টকর জীবনধারা/তোমার লেখাই বিশ^বাসীকে করেছে আত্মহারা/ সাহিত্য-সংগ্রাম করেছ আজীবন/ বিশে^র মানুষকে করেছ আপন। সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হককে উদ্দেশ্য করে একটি কবিতা লিখে কুড়িগ্রাম কলেজ মাঠে নিয়ে এসেছে কুড়িগ্রাম সরকারী বালক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সুরঞ্জন মজুমদার। কলেজ মাঠে এসে নীরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নীরবে চোখের জল মুছছে। সুরঞ্জন জানায়, তিনি আমার প্রিয় কবি ছিলেন। আমি ছোট বেলা থেকে আমাদের ক্লাসের বই এ তার কবিতা এবং গল্প পড়েছি। তার লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে এ পর্যন্ত ৩৫টি কবিতা লিখেছি। শুধু সে একা নয় ভোর থেকে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ মাঠে। জেলার ৯টি উপজেলা এবং আশপাশের লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, থেকেও মানুষ এসেছেন বাংলা সাহিত্যের ক্ষণজন্মা পুরুষ অগ্রগণ্য কবি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে এক নজর দেখতে। তিনি কালজয়ী সৃষ্টির মাঝে নিলেন শেষ আশ্রয়। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া ॥ খ্যাতিমান লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে কুড়িগ্রামের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কুড়িগ্রামকে গৌরবাম্বিত করা এই মহান ব্যক্তিত্বকে হারানোয় শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা। কুড়িগ্রামে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু বলেন, বাংলাদেশকে পুরো বিশে^র দরবারে তুলে ধরেছেন যিনি, তিনি আমাদের কুড়িগ্রামের সন্তান। তার মৃত্যুতে আমাদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম তরুণ লেখক ফোরামের সাধারণ সভাপতি আব্দুল খালেক ফারুক বলেন, ‘তার দীর্ঘ লেখক জীবনে তিনি নানাভাবে মাতৃভূমির ভাষা, কৃষ্টি ও মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। তার শেষ বিদায়ের বেলাতেও তিনি জন্মস্থানের কথা ভুলে যাননি’। কুড়িগ্রাম সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক সব্যসাচী এই লেখকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি ছিলেন মৌলবাদের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠস্বর। তার লেখনীতে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের কথা বিষেশভাবে উল্লেখ করা হয়েছে’। তার প্রিয় স্কুলে শোকসভা ॥ সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে তার প্রিয় রিভার ভিউ স্কুলে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সঙ্গে স্কুলে ছুটি ঘোষণা, নীরবতা পালন, দোয়া মোনাজাত করা হয়। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয় ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহাম্মেদ, শিক্ষক মোঃ ফয়েজ উদ্দিন, মোঃ সাহাদত হোসেন এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সফি খান। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। বিকেলে কলেজ মাঠে কবিকে স্কুলের পক্ষ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, সৈয়দ শামসুল হক এ বিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় আমরা সবাই গৌরবান্বিত। তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি গত বছর এ বিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিদ্যালয়ের মাটি নিয়ে কপালে ছোঁয়ান। এতেই বোঝা গেছে কুড়িগ্রামের প্রতি ও স্কুলের প্রতি তার ভালবাসা। তিনি প্রথম শ্রেণী থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এখানে পড়াশোনা করেন। সফি খান বলেন, তিন কুড়িগ্রামের মাটিতে জন্ম নিলেও নাগরিক সংবর্ধনা পাননি। এই তাগিত ও দুঃখ বোধ থেকে ২০১১ সালের ১ মার্চ তাকে কুড়িগ্রাম পৌরসভা মাঠে সংবর্ধনা দেই। সেই সময় তিনি ঘোষণা করেন আমার মৃত্যুর পর কুড়িগ্রামের মাটিতে শায়িত হতে চাই। পরবর্তীতে গত বছর জন্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠানে একই কথা বলেন। গত আক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলেজ মাঠে জনসভায় এসে তিনি এই ঘোষণা। সেই প্রেক্ষিতে তাকে কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ মাঠের প্রবেশ দ্বারের দক্ষিণ দিকে শায়িত করা হবে। হেলিকপ্টার অবতরণ ॥ বুধবার বিকাল ৪টায় কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ মাঠে হেলিকপ্টার নামে কবির মরদেহ নিয়ে। সঙ্গে ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী, পুত্রসহ নিকট আত্মীয়। এরপর কলেজ মাঠের পশ্চিম দিকে নির্মিত স্টেজে রাখা হয় কফিন। সেখানে এক একে শ্রদ্ধা জানায় সবাই। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় কফিন। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে জানাজা শুরু হয়। জানাজা পড়ান কুড়িগ্রাম আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুর বখত। এর পর ৫টায় কলেজ মাঠের পশ্চিম দিকের শেষ প্রান্তের ধানক্ষেতে বালু দেয়ে ভরাট করা স্থানে শায়িত করা হয় তাঁকে। এর পর সোয়া ৫টায় কবির আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
×