ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢল নেমেছিল বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ মানুষের

সৈয়দ হকের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সৈয়দ হকের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমি থেকে যেতে আসিনি;/এ আমার গন্তব্য নয়;/আমি এই একটুখানি দাঁড়িয়েই/এখান থেকে/চলে যাব...। চলে গেলেন সৈয়দ শামসুল হক। চলে যেতে হলো। মৃত্যুর পরদিন বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শেষ বিদায় জানানো হলো কবিকে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণের ফুল নিবেদিত শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় সিক্ত হয়ে শেষ শয্যা নিলেন সব্যসাচী। বহু বহু কাল আগে কুড়িগ্রামের নরম মাটিতে নাড়ি পুঁতে এসেছিলেন। সেখানেই লেখা হলো এপিটাফ। শেষ জন্মদিনের প্রতিক্রিয়ায় সব্যসাচী লিখেছিলেন, ‘চোখ ফেলে আছি মহাত্মা লালনের দিকে, তিনি একশ’ আঠারো বছর আয়ু পেয়েছিলেন। আমি অপার হয়ে সেই দীর্ঘ জীবনের দিকে তাকিয়ে আছি। এখনও অপেক্ষায় কত কবিতা কত নাটক কত গল্প...।’ অনাগত সৃষ্টির এই মায়া কাটিয়ে চলে যেতে হলো সাহিত্যের অনন্য স্রষ্টাকে। কবির এমন মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারেনি ভক্ত অনুরাগীরা। প্রকৃতিও ছিল বিষন্ন। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন সর্বস্তরের জনগণ। কারও হাতে ফুল। কেউ সাজিয়ে এনেছিলেন ডালা। বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পর সকাল ১১টায় সৈয়দ হকের মরদেহ বহনকারী গাড়ি এসে পৌঁছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন ॥ এদিন কবির কফিনে প্রথম শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ফুল দিয়ে কবির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় কিছুক্ষণ নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। কোন কবির শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায় রাষ্ট্রপতির সরাসরি যোগ দেয়ার ঘটনা এবারই প্রথম ছিল বলে ধারণা করা হয়। কবির প্রতি রাষ্ট্রের বিরল সম্মান প্রদর্শনের মুহূর্তটি আরও বেশি আবেগঘন করে তুলে পরিবেশ। শিল্প সাহিত্য অঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও সম্মানিত বোধ করেন। রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সৈয়দ হকের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদীন। সর্বস্তরের মানুষের ঢল ॥ রাষ্ট্রপতি চলে যাওয়ার পর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিল্পী, সাহিত্যিক, মন্ত্রী, এমপি, সচিবসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কবির প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। সৈয়দ হকের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমীন চৌধুরী, ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাংবাদিক কলামিস্ট আবেদ খান শেষ শ্রদ্ধা জানান কবিকে। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নাট্যজন আলী যাকের, ম. হামিদ, আতাউর রহমান, সারা যাকের, তারিক আনাম খান, নিমা রহমান, বিপাশা হায়াত। কবির কফিনে ফুল দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে সহ আরও অনেকে। কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ, ১৪ দল, কমিউনিষ্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, ঐক্য ন্যাপ, জাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য অধিদফতর, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, যুবমৈত্রীসহ বেশি কিছু রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ-সংগঠন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির কফিনে ফুল দেয়া হয়। বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, ছায়নটের পক্ষ জানানো হয় শেষ শ্রদ্ধা। ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, নজরুল ইনস্টিটিউট, চারুশিল্পী সংসদ, এশিয়াটিক সোসাইটি, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, খেলাঘর, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, গণস্বাক্ষরতা অভিযান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, মহিলা পরিষদ, বিএফডিসি, ঢাকা ক্লাব, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সেন্টার, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, ডিরেক্টরস গিল্ড, কণ্ঠশীলন, লেখিকা সংঘ, নৃত্যশিল্পী সংস্থা, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, ক্রান্তি, ঢাকা থিয়েটার, আরণ্যক, গ্রাম থিয়েটার, অফিসার্স ক্লাব, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, পথনাটক পরিষদ, নাটকের দল বটতলা, প্রাচ্যনাট, কবি রফিক আজাদের পরিবার, জাতীয় কবিতা পরিষদ, ঢাকা পদাতিক, নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলসহ অসংখ্য সংগঠন। দুপুর একটার কিছু পরে শেষ হয় শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ। সমাপনী বক্তৃতায় রামেন্দু মজুমদার বলেন, সাহিত্য সংস্কৃতি ভুবনের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রটি খসে পড়ল। সমাপ্তি ঘটল একটি গৌরবময় অধ্যায়ের। অবশ্য একে আমরা সমাপ্তি মনে করি না। সৈয়দ হকের সৃষ্টি সম্ভার যুগ যুগ ধরে পাঠককে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের পর আর কোন লেখক এত বিষয়ে এত এত লেখা লিখেননি। এসব লেখা পাঠ করলে বোঝা যায়, কত বড় মাপের লেখক ছিলেন তিনি। গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধ যেখানেই হাত দিয়েছেন, সোনা ফলেছে। মৃত্যুর কিছুদিন আগেও শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’ অনুবাদ করেছেন। প্রায় পৌনে দু’শ কবিতা ও ৮টি গল্প রচনা করেছেন। রাজনীতি সচেতন সৈয়দ হকের হৃদয়জুড়ে ছিল বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু। কবির এপিটাফে যে কবিতা উৎকীর্ণ করা হবে সেখান থেকে আবৃক্তি করে বক্তৃতা শেষ করেন তিনি। দ্বিতীয় সৈয়দ হকের কৃতজ্ঞতা ॥ কবিকে শেষ বিদায় জানাতে আসা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাঁর পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, বাবার জীবনকে বিপুলভাবে প্রভাবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধেরও আগে থেকে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতেন। শ্রদ্ধা করতেন। ভালবাসতেন। জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও ছিল তাঁর অগাধ আস্থা। প্রধানমন্ত্রী নিজেও দেশের আর্ট কালচারের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। একজন কবিকে কিভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা জানেন। বাবার প্রতি তিনি সে সম্মান দেখিয়েছেন। আমরা তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ হয়ে থাকলাম। বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী, লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। বলেন, যেদিন বাবা মারা যান সেদিন শিওরে বসে তাঁকে বলেছি, আমি লিখব। শ্রদ্ধা জানাতে আসা সুহৃদদের কথা ॥ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সৈয়দ হকের নূরলদীন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জনকণ্ঠকে বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে চিরন্তন লড়াই, আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সমাজে দেশে বিশ্বে যত আন্দোলন, সেইসব আন্দোলনের প্রবল কণ্ঠস্বর সৈয়দ হক। তাঁর নূরলদীন কোন একটি সময়ের নয়। সব সময়ের। মানব সমাজের সংগ্রামের ইতিহাসে নূরলদীন চিরকাল বেঁচে থাকবে। সামাজিক রাজনৈতিক। সাম্প্রদায়িক, যুদ্ধাপরধীদের যে আন্দোলন, সরাসরি প্রত্যক্ষভাবে ছিলেন। প্রমাণ করেছেন বিচ্ছিন্ন লেখক ছিলেন না। সমাজের সঙ্গে যুক্ত প্রতিবাদী বিপ্লবী মানুষ। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সৈয়দ হক জীবনের অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করতেন। গ্রন্থপাঠের অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যে নিয়ে আসতেন। মেধা এবং শ্রমের সাহায্যে অসাধারণ সাহিত্য তৈরি করে গেছেন তিনি। পরিমাণে বেশি। গুণেও। নানা ক্ষেত্রে তিনি আমাদের দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে তাঁর যে সাহিত্য অনুরাগ ও শ্রমনিষ্টা দুটো অনন্য গুণ বলে আমি মনে করি আমি। কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, আমার দেখা পরিপূর্ণ এক বাঙালীর নাম, পরিপূর্ণ এক মানুষের নাম, পরিপূর্ণ এক সৃষ্টিশীল কবির নাম সৈয়দ শামসুল হক। পাঁচ থেকে ছয় দশক ধরে তাঁকে আমি দেখেছি। সৃষ্টিশীলতার যত প্রকারভেদ আছে সবগুলোর মধ্য দিয়ে তিনি বিবর্তিত হয়েছেন। এক হাতে নয় দুই হাতে নয়, আমরা বলব, হাজারো হাতে তিনি লিখেছেন। বাঙালীর ইতিহাস কবিতায় তুলে ধরেছেন তিনি। যদি বাঙালীত্ব নিয়ে, মানবিক সত্তা নিয়ে বাঁচতে হয়, তাঁর সৃষ্টির কাছে ফিরতে হবে। কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন সৈয়দ শামসুল হক। তার সৃষ্টি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। বুদ্ধদেব বসুর মতো সৈয়দ শামসুল হকও ভাষা সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ‘মার্জিনে মন্তব্য’, ‘কথা সামান্যই’, ‘হৃৎকলমের টানে’ আজকের প্রজন্মের লেখকদের অবশ্য পাঠ্য। কবি তারিক সুজাত বলেন, সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি সৈয়দ হক সামাজিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রগতিশীল সব আন্দোলন সংগ্রামে পাশে ছিলেন তিনি। নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বাংলা কাব্য নাটকের ভুবনকে সমৃদ্ধ করে গেছেন সৈয়দ হক। অসুস্থ অবস্থায়ও তিনি শেক্সপিয়রের নাটক হ্যামলেট অনুবাদ করে পাঠিয়েছেন। নাটকটি শিল্পকলা একাডেমি প্রযোজনা করবে বলে জানান তিনি। শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কবির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। এখানে বাদ যোহর কবির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সৈয়দ হকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে। সৈয়দ হকের মরদেহের সঙ্গে কুড়িগ্রাম যান কবির সহধর্মিণী আনোয়ারা সৈয়দ হক, পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাতসহ কয়েকজন। বাংলা একাডেমিতে কবি ॥ এর আগে সকাল ১০টা ৪৯ মিনিটে কবির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রিয় প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমিতে। বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একাডেমির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবি কামাল চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম আকতারী মমতাজ, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, রবীন্দ্র গোপ, আলাউদ্দিন আহমেদ, সুজন বড়ুয়া, মোহিত কামাল, জাকির তালুকদার, দিলদার হোসেন, মাহবুব সাদিক, তারিক সুজাত, পারভেজ হোসেন, নাদিরা মজুমদার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়, শিল্পী কল্যাণী ঘোষ, প্রকাশক রেদোয়ানুর রহমান জুয়েল, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। পরে কবি স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সকাল ১১টা ৬ মিনিটে মরদেহবাহী গাড়ি শহীদ মিনারের উদ্দেশ যাত্রা করে। তারও আগে ইউনাইটেড হাসপাতালের মরচুয়ারি থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে সৈয়দ হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চ্যানেলটির বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নায়ক রাজ-রাজ্জাক, চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন, কবি আসাদ চৌধুরী, গায়ক খুরশীদ আলমসহ চ্যানেল আই পরিবারের সদস্যসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা অংশ নেন। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ২ অক্টোবর স্মরণসভা ॥ আগামী ২ অক্টোবর শনিবার বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাগরিক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজন করবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
×