ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আশরাফুল আলম

যাপিত জীবনের সঙ্গী

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

যাপিত জীবনের  সঙ্গী

আধুনিক সভ্যতায় একটি বিপ্লব এনে দিয়েছে মোবাইল ফোন। এখন তা প্রায় সবার হাতে। কী আনন্দে লাঠির মাথায় বেঁধে সেলফি তোলে! শিশু, বৃদ্ধ, কৃষক, রিকশাওয়ালা, ড্রাইভার, গার্মেন্টস কর্মী, খেয়ানৌকার মাঝি সব শ্রেণীর মানুষের হাতে এখন মোবাইল ফোন। যে কোন সময় যে কোন প্রান্তের মানুষের খোঁজখবর, সংবাদ, ছবি পাঠাতে, ম্যাসেজ দিতে এটা খুবই জরুরি। সস্তা এবং সময় স্বল্পতা সবদিক বিবেচনায় মোবাইল ফোন জরুরি হয়ে উঠেছে। ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম। ভাববিনিময় করা সহজ। ছেলেদের এখন খেলার মাঠে দেখা যায় কম। ঘরের কোণে বাচ্চারা মোবাইলে গেম খেলে। অনেকে খারাপ ছবি দেখে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে অযথা সময় অপচয় করে। এটা টিপতে টিপতে মাদকের মতো নেশা হয়ে যায়। সম্প্রতি মহাখালী রেললাইনে এক ভদ্রলোক মোবাইলে কথা বলতে বলতে ট্রেনের নিচে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন। মোবাইলে এসব মাদক নেশা বাদ দিতে হবে। মাদকের মতো জ্ঞান হারিয়ে যেন না যায়। প্রযুক্তির এসব খারাপ দিক রয়েছে। তাই বলে কি আমরা প্রযুক্তিকে গ্রহণ করব না? সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাব না? অবশ্যই প্রযুক্তিকে গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দুটো দিকই রয়েছে। সবকিছু ব্যবহারের মধ্যে একটা নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। আসলে ব্যবহারের উপর নির্ভর করে ভাল-মন্দ। মোবাইল ফোনকে যতই খারাপ বলা হোক না কেন এটাকে আর বাদ দেয়ার উপায় নেই। এটা ছাড়া এখন সভ্যতা একেবারেই অচল। একদিন মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলে দুনিয়াটা অন্ধের মতো মনে হবে। সবার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো মনে হবে। রামপুরা, ঢাকা থেকে
×