ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির

ইন্টারনেট ড্রাগ

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ইন্টারনেট ড্রাগ

বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে অনেকে বলে থাকেন মোবাইল জেনারেশন আবার অনেকে বলেন সেলফি জেনারেশন। বেশিদিন আগের কথা নয়। নব্বই দশকের প্রথম দিকে দেখেছি টেলিফোনে কথা বলার জন্য অনেক লোক দু’তিন মাইল হেঁটে গিয়ে টেলিফোন/ফ্যাক্সের দোকানে যেতে। এমনও দেখেছি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরে এসে টেলিফোনে বিদেশে প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলতে। এখন সেই সময় নেই। মোবাইল আসার পর পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। মোবাইল ছাড়া চলেই না। মোবাইল না হলে প্রেস্টিজের ব্যাপার। মানুষের জীবনধারাকে একেবারে বদলে দিয়েছে মোবাইল। আসল কথা এটি নয়। আসল কথা হচ্ছে মোবাইলের ব্যবহার ও বাড়াবাড়ি। মোবাইল এখন পরনের কাপড়ের মতো। ইয়ার ফোন কানে লাগিয়ে গাড়িতে বসে গান শোনা, রাস্তা পার হওয়া, গাড়ি চালানো- এই ধরনের মোবাইলের ব্যবহার করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। মাথার চুলের বাহারি স্টাইল করে শর্টপ্যান্ট-টিশার্ট পরে কানের দুল লাগিয়ে এই প্রজন্মের ছেলেরা হেঁটে হেঁটে আবার দল বেঁধে বসে মোবাইলে খুব ব্যস্ত থাকে। ফেসবুক আসার পর আরও ভয়াবহ বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে। সেলফির শেষ নেই। কিছু সেলফি এমন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গেছে যাতে জীবনহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। মেয়েদের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে ভুয়া আইডি দিয়ে ব্লাকমেইলিং করা হচ্ছে। অনেক সময় দেখি অপরিচিত নম্বর থেকে গভীর রাতে কল আসে মেয়েদের কাছে। এই রকম অভিযোগ অনেক শুনেছি। মোবাইলের এই ধরনের নানা অপব্যবহার আরও আছে। ইন্টারনেটের অসৎ সঙ্গের পাল্লায় পড়েছে মোবাইলের মাধ্যমে অনেক তরুণ। অভিভাবকের কাছে দামী মোবাইল কিনে দেয়ার জন্য কত বায়না। মোবাইল কিনে না দেয়ায় সন্তান পিতাকে খুন করেছে পত্রিকায় পড়েছি। তাই মোবাইল এখন মাদকের নেশার মতো হয়ে উঠেছে। বলতে গেলে মোবাইলের বাড়াবাড়িকে ইন্টারনেট ড্রাগ বলে অভিহিত করব। সব কিছুর সীমা আছে। সীমা অতিক্রম করলে বিপদ আসে। তাই নিজের ভাল নিজেকেই জানতে হবে। দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, চট্টগ্রাম থেকে
×