ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাঁখের করাত;###;মোঃ শরীফ

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ মাদক মোবাইল

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ মাদক মোবাইল

একটা সময় আফিমকে ব্যবহার করা হতো সর্দি, কাশি, জ্বর থেকে মুক্তির জন্য। মুরব্বিদের কাছে আমরা এ রকমটাই শুনেছি। কিন্তু এখন আফিম নেশা করার পণ্য ছাড়া কিছু নয়। এখন বাজারে যে সর্দি-কাশির সিরাপ পাওয়া যায় এগুলোও অনেকে নেশার জন্য বেশি করে সেবন করে থাকেন। দেখুন দুটো পণ্যকেই মহৎ উদ্দেশ্য অর্থাৎ আরোগ্য লাভের জন্য আবিষ্কার করা হয়েছিল। আবার এগুলোকে ব্যবহার করা হয় নিষিদ্ধ নেশার কাজেও। মোবাইলের ব্যাপারটাও এ রকম হয়েছে বোধকরি। ভারতের মহারাষ্ট্রে বাঁধের কিনারায় সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। বেশ কিছুদিন আগে মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক মেয়ে। এ ছাড়াও বাস-ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হয় অনেকে মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে। বিশেষ করে গাড়ি চালকরা মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটিয়ে দেন অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা। মোবাইল মাদকের সবচেয়ে বেশি শিকার তরুণরা। ইন্টারনেটের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তরুণরা চলে যাচ্ছে সঠিক পথ থেকে দূরে। আর সেই ব্যবস্থাটা সহজ করে দিচ্ছে মোবাইল। মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে তরুণরা সহজেই ঝুঁকছে পর্নোগ্রাফির দিকে। অনেকে পড়ছেন নতুন ফাঁদে। ফেসবুক আসক্তির তরুণরা মারাত্মক শিকার। এর মানে এই নয় ফেসবুক মন্দ। তবে সব কিছুর একটা অবশ্যই সীমা থাকা দরকার। মোবাইল মূলত আবিষ্কৃৃত হয়েছিল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য। কিন্তু তরুণরা ঝুঁকে পড়ছে মোবাইলে অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় কথা বলার দিকে। আর এখানেই মিল খুঁজে পাওয়া যায় আফিম-কাশির সিরাপের সঙ্গে মোবাইলের! এক্ষেত্রে মেয়েরা বেশি হচ্ছে প্রতারণার শিকার। তাদের ফাঁদে ফেলে কেড়ে নেয়া হচ্ছে অনেক কিছু। অনেকে মনে করতে পারেন আমি মোবাইল বিরোধী, কিন্তু না। মোবাইল যে আমাদের অপকারের চেয়ে উপকার বেশি করে, তা স্বীকার করতে কোন সঙ্কোচ নেই। তবে অপকারের মাত্রা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা লক্ষণীয়। যাকে বলা যায় মোবাইল মাদক। সবার উচিত এ ব্যাপারে সচেতনতা হওয়া। একই সঙ্গে সমাজ বিজ্ঞানীদের রাখতে হবে এ ব্যাপারে অবদান। ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ, কুমিল্লা থেকে
×