ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউইয়র্ক বিতর্ককে পুঁজি করতে চান হিলারি

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নিউইয়র্ক বিতর্ককে পুঁজি  করতে চান হিলারি

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন মঙ্গলবার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর নারী ও হিস্প্যানিক ভোটারদের মধ্যে তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে প্রথম প্রেসিডেন্ট বিতর্কে তার জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে পুঁজি করতে চাইছেন। মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দর্শক সোমবার রাতের এই বিতর্ক দেখেছেন। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের। কিছু ক্ষেত্রে হিলারির অবস্থান নড়বড়ে ছিল, বিশেষ করে বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে তার অবস্থান। তবে বিতর্কের অধিকাংশ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আত্মরক্ষায় ব্যয় করতে বাধ্য করেন হিলারি। নিউইয়র্কের হফস্ট্রা ইউনিভার্সিটিতে বিতর্কে অংশ নেন এই দুই প্রার্থী। এনবিসি টেলিভিশনের উপস্থাপক লেস্টার হল্ট বিতর্ক সঞ্চালনা করেন। এদিকে ট্রাম্প মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, তাকে যে মাইক্রোফোন দেয়া হয়েছিল, সেটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ এবং হল্ট তাকে অযৌক্তিক প্রশ্ন করেন। তবে প্রথম বিতর্ককে পেছনে রেখে উভয় প্রার্থীই দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর দিকে মনোনিবেশ করছেন এবং সেন্ট লুইসে ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বিতর্কের জন্য পরিকল্পনা শুরু করেছেন। হিলারির সাম্প্রতিক সফরসূচীর মধ্যে নর্থ ক্যারোলিনা সফর ছিল একটি পরীক্ষা। তবে তিনি জনতার বিপুল হর্ষধ্বনির মধ্যে সেখানে যান এবং অঙ্গরাজ্যের একটি আইনের সমালোচনা করেন। এই আইনে ভোটারদের শনাক্তের জন্য ছবি দেখানোর প্রয়োজন হয়। ট্রাম্প এই আইন সমর্থন করেছেন। তবে আদালত এটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে, কারণ এই আইন সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার হরণ করতে পারে। হিলারি নর্থ ক্যারোলিনায় এক সমাবেশে বলেন, আমরা দেয়াল নির্মাণ করতে চাই না। মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্পের দেয়াল নির্মাণের আহ্বানের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আমরা সেতু তৈরি করতে চাই। হিলারির জন্য নিউইয়র্ক বিতর্ক সম্ভবত গুরুত্বপূর্ণ ডেমোক্র্যাট নির্বাচকম-লীদের পুনরায় সক্রিয় হতে সাহায্য করেছে। হিলারির প্রার্থীতা নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্যম কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল। চলতি মাসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল/এনবিসি নিউজের জরিপে দেখা গেছে, আফ্রিকান-আমেরিকানদের মত তার জনপ্রিয়তা আগস্টের চেয়ে কমে ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটা গত মাসে ছিল ৮৬ শতাংশ। আর তরুণ ভোটারদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা আরও কমেছে। নিউইয়র্ক বিতর্কের আগে হিলারির উদ্দেশ্য ছিল এই গ্রুপগুলোর মধ্যে তার সমর্থন স্থিতিশীল রাখা ও উন্নতি করা। হিলারির এই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে, যা তাকে পরবর্তী বিতর্কের মাধ্যমে দ্বিধান্বিত ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে আরও সুযোগ করে দেবে। এদিকে ট্রাম্পের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও জটিল হয়েছে। ট্রাম্পের কিছু উপদেষ্টা তাকে হিলারির একান্ত কিছু ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আক্রমণের পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে হিলারির স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের হোয়াইট হাউসে থাকার সময় তার বৈবাহিক বিশ্বস্ততা নিয়ে।
×