ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কারিগরি শিক্ষার অভাবে বেকারত্বের হার বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কারিগরি শিক্ষার অভাবে  বেকারত্বের হার বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতিবছর উচ্চ শিক্ষার পর সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষে কর্মক্ষেত্রে পা রাখে। কিন্তু এর একটি বড় অংশ আগের পুরানো সংখ্যার সঙ্গে, নতুন করে যুক্ত হয় বেকারত্বের খাতায়। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সময়ের প্রয়োজনেই অন্তত ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বেছে নিতে হবে কর্মমুখী শিক্ষা, যার জন্য রি-ডিজাইন করতে হবে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা। যেখানে গতানুগতিক শিক্ষায় যুক্ত হবে সৃজনশীলতা ও দক্ষতা উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো। শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষকে বিকশিত করা, দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৪ সালে ৩৪টি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮২ জন। একই বছর ৭৫টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হয় ৬৫ হাজার ৩৬০ জন। সব মিলিয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩০২ জন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির ২০১২ সালের এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর ২২ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু কাজ পায় মাত্র সাত লাখ। এদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষিত, স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যারা শিক্ষা জীবন শেষ করেছেন তারাও আছেন। প্রযুক্তিবিদ মুনির হাসান বলেন, ‘টার্শিয়ারি শিক্ষাটাকে এমনভাবে সাজাতে হবে যে, সে যেন সমস্যা সমাধানের পদ্ধতিটা শেখে। মুখস্থ করবে না কিন্তু সে সমস্যাটার সমাধান করতে পারবে।’ উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, পদ্মা সেতু হচ্ছে। কেন আমি বাংলাদেশের সমস্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদেরকে বাই-রোটেশন সেখানে দুই মাসের ইন্টার্নশিপ করতে দিচ্ছি না। তারা যদি সেখানে যুক্ত হতে না পারে তাহলে পরের পদ্মা সেতুটি কিভাবে বানাবে?’ শিক্ষাবিদরা বলছেন, সময়ের প্রয়োজনেই গতানুগতিক শিক্ষায় যুক্ত করতে হবে সৃজনশীলতা ও দক্ষতা উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো। তারা বলছেন সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বাড়াতে হবে কর্মমুখী ও বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই কর্মমুখী শিক্ষা নিয়ে ভাবতে হবে এখনই। এ বিষয়ে সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি আসার আগে এজন্য ১৭ হাজার কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট বানিয়ে প্লানিং কমিশনে দিয়ে এসেছি।
×