ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এলএনজি সরবরাহে ১৪ কোম্পানির প্রস্তাব সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

এলএনজি সরবরাহে ১৪ কোম্পানির প্রস্তাব  সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ দিতে দেশী-বিদেশী ১৪টি কোম্পানির প্রস্তাব বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে। এসব প্রস্তাব বিবেচনা করছে সরকার। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, এসব প্রস্তাবের মধ্যে ভারত, সিঙ্গাপুর ও চীনের একাধিক কোম্পানি রয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জ্বালানি বিভাগ এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করছে। যেগুলো বাস্তবসম্মত, সেগুলো বিবেচনা করা হবে। পরে এসব প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিলে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হবে। উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে বিদ্যুত কেন্দ্র এবং শিল্প-কারখানায় ব্যবহারের জন্য গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সাড়ে তিন হাজার ঘনফুট এলএনজি গ্যাস আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ উত্তোলিত গ্যাস ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে না পারায় সরকার এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেয়। দেশের ভবিষ্যত জ্বালানির যোগান দিতে লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাসের (এলএনজি) ওপর অনেকটাই নির্ভর করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। জ্বালানি মন্ত্রণালয় কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও সোনাদিয়ায় স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালীতে দ্বিতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ), পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর, গভীর সমুদ্রে গ্রাভিফোট এলএনজি টার্মিনালসহ কয়েকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হবে। এসব এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে ভারত, সিঙ্গাপুর, চীনসহ কয়েকটি দেশের কোম্পানি জ্বালানি বিভাগে প্রস্তাব জমা দিয়েছে। কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজিভিত্তিক একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে সরকার। এর বাইরে পেট্রোবাংলা আরও দুটো স্থায়ী এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের কাছে আরও একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। বিদ্যুত বিভাগ দুটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। সব মিলিয়ে সরকার এখন ১৪টি কোম্পানির এলএনজি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। সরকার এলএনজিভিত্তিক তিনটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি খুলনায় ৭৫০ থেকে ৮৫০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে। বিদ্যুত কেন্দ্রটি ভারতের রাষ্ট্রীয় একটি কোম্পানির কাছ থেকে এলএনজির সরবরাহ নিয়ে পরিচালনা করা হবে। এর বাইরে দেশের বৃহৎ বেসরকারী কোম্পানি সামিট পাওয়ার এক হাজার ৬৫০ মেগাওয়াটের এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে।
×