ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গত ৪০ বছরে নৌ-দূর্ঘটনায় প্রাণ গেছে সাড়ে ৪ হাজার মানুষের

প্রকাশিত: ০২:২৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গত ৪০ বছরে নৌ-দূর্ঘটনায় প্রাণ গেছে সাড়ে ৪ হাজার মানুষের

সংসদ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সাল হতে এ পর্যন্ত অর্থাৎ ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত গত ৪০ বছরে ৫৯৫টি নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪ হাজার ৬৭১ জনের প্রাণহানী ঘটে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এতথ্য দেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে প্রশ্নের উত্তর দেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ট ৫৯৫টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৬৭১ জনের প্রাণহানীর পাশাপাশি ৫১০ জন আহত হন। এছাড়া ৪৬৬ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানানো হয়। এরমধ্যে ২০০৩ সালের সর্বাধিক মানুষের প্রাণহানী ঘটে। তখন ৩১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪৬৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১৯৮৬ সালে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪২৬ জনের মৃত্যু ঘটে, ১৯৯৪ সালে ২৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩০৩ জনের মৃত্যু ঘটে, ২০০০ সালে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৫৩ জন, ২০০৫ সালে ২৮টি দুর্ঘটনা ঘটে এতে ২৪৮ জনের প্রাণহানী ঘটে। এছাড়া ২০০৯ সালে ৩৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের প্রাণহানী ঘটে। এছাড়াও বিভিন্ন বছর নৌ-দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। সরকারি দলের গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী দাবি করেন, দেশের নদীগুলোতে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করে না। লঞ্চ চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ফিটনেস সনদ থাকা সাপেক্ষে রূট পারমিট এবং টাইম টেবিল প্রদান করা হয়। কাজেই ফিটনেস সদন বিহীন লঞ্চের চলাচলের কোন সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, নৌপথে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। ফিটনেসবিহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি জানান, নৌপথে নিরাপদ চলাচলের জন্য বিভিন্ন নৌবন্দও আধুনিকায়ন, বিভিন্ন নৌরুটের নাব্যতা নিশ্চিতকরণ এবং পলিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌরুটের নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌ-বাণিজ্যের পথ সুযোগ করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনে বর্তমান সর্বমোট নৌযানের সংখ্যা ১৯৫টি। তার মধ্যে ৫০টি ফেরী, ৩৯টি যাত্রীবাহী জলযান, ৭টি কোস্টার, ১২টি ট্যাংকার, ডাম্ব বার্জ ১২টি, টাগ ১৫টি, সেলফ প্রপেল্ড বার্জ ৬টি এবং সহায়ক জলযান রয়েছে ৫৪টি। এছাড়া নৌপথ সংরক্ষণ, সার্ভে, পল্টন স্থানান্তর, ড্রেজার সহায়ক যন্ত্রপাতি স্থানান্তর কাজে সার্ভে, টাগ, ওয়াক বোট ও ৪টি উদ্ধারকারী জাহাজসহ মোট ৬৪টি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন জলযান রয়েছে।
×