ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গোপন খবর ফাঁস করা উচিত হয়নি পাটিলের

প্রকাশিত: ২০:০৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গোপন খবর ফাঁস করা উচিত হয়নি পাটিলের

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিতর্কের বারুদে আগুন লাগানোর কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলেন সন্দীপ পাটিল। বিস্ফোরণটা হল মঙ্গলবার। প্রাক্তন নির্বাচক প্রধানের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অনুরাগ ঠাকুর। নির্বাচক চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই সচিন তেন্ডুলকর, এমএস ধোনিদের নিয়ে নির্বাচনী বৈঠকের গোপন খবর সন্দীপ পাটিলের প্রকাশ করাকে অনৈতিক বলে দিলেন ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট। একটি টিভি চ্যানেলকে পাটিল ফাঁস করেছিলেন, সচিন তেন্ডুলকর অবসর নেওয়ার আগেই তাঁকে অবসরের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাটিলরা। শুধু তাই নয়, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকেও ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে ওয়ান ডে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব থেকে সরানোর কথা ভাবা হয়েছিল। বোর্ড প্রেসিডেন্ট এ দিন বলেছেন, ‘‘একটা ব্যাপার আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই। প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসেবে সন্দীপের এই মন্তব্যগুলো করা উচিত হয়নি। চেয়ারম্যানের দায়িত্বে যখন ছিলেন, একই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু উনি অন্য ভাবে দিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উত্তরগুলো বদলে গেল। এটা একেবারে অনৈতিক কাজ।’’ সঙ্গে অনুরাগ আরও যোগ করেন, ‘‘নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে এ রকম অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ সন্দীপের যথেষ্ট ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তাঁকে নির্বাচক চেয়ারম্যান হিসেবে বিশ্বাস করেই দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছিল। ওঁর সঙ্গে তো কমিটিতে আরও চার জন নির্বাচক ছিলেন। তাঁরা তো কিছু বলেননি। সন্দীপ ব্যাপারটা এড়িয়ে যেতে পারতেন।’’ এর জন্য পাটিলের বিরুদ্ধে বোর্ড কোনও ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘বিসিসিআইয়ের ঠিকঠাক লোকই ওঁর সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি কথা বলবে।’’ সঙ্গে অবশ্য বোর্ড প্রেসিডেন্ট এটাও শুনিয়ে রেখেছেন, সন্দীপ পাটিল যা করলেন তাতে ভবিষ্যতে তাঁর কোনও সংস্থায় দায়িত্ব পাওয়া কঠিন হয়ে গেল। ‘‘ওঁকে কোনও সংস্থা নেওয়ার আগে দশ বার ভাববে যে যখন ও সংস্থা ছেড়ে যাবে তখন কী কী বলতে পারে।’’ ধোনি ও সচিনকে নিয়ে গোপন খবর ফাঁস করার পাশাপাশি সন্দীপ পাটিল আরও বলেছিলেন, গত মাসে শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চেতেশ্বর পূজারা ব্যাটিং নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাওয়ার পর টিম ইন্ডিয়ার কোচ অনিল কুম্বলে আর টেস্ট ক্যাপ্টেন বিরাট কোহালি কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। তবে পাটিল আর চার নির্বাচকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচক প্যানেল নিয়েও বিতর্ক কম নয়। যাঁদের সাকুল্যে টেস্ট আর ওয়ান ডে খেলার অভিজ্ঞতা যথাক্রমে ১৩ আর ৩১। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট অবশ্য সাফাই দিলেন, ‘‘এই প্রথম বিসিসিআই প্রকাশ্যে নির্বাচকের পদে আবেদন পাঠানোর আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। আর যাঁরা আবেদন করেছেন আমরা শুধু তাঁদেরই দায়িত্ব দিতে পারি।’’ সঙ্গে বোর্ড প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘‘অনেকেই বোর্ডের কাজে আর যুক্ত হতে চাইছেন না। প্রাক্তন ক্রিকেটার, যাঁরা অ্যাকাডেমি চালান বা যাঁরা রাজ্য সংস্থায় কোনও দায়িত্বে আছেন, তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন চলে আসবে।’’ শুধু নতুন নির্বাচক প্যানেলই নয়, প্রশ্ন উঠেছিল লোঢা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তিন নির্বাচকে জায়গায় পাঁচ নির্বাচকের প্যানেল তৈরি করা নিয়েও। যা নিয়ে অনুরাগ বলেছেন, ‘‘জানাতে ভাল লাগছে আবেদনকারীদের মধ্যে ৯৯ শতাংশই চেয়েছিলেন পাঁচ সদস্যের প্যানেল। ভারতের মতো এত বড় একটা দেশে তিন জনকে দায়িত্ব কী করে দেওয়া যায়?’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×