ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিথুন আশরাফ

এক শ’ ওয়ানডে জয়ের দিন আজ টাইগারদের

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

এক শ’ ওয়ানডে জয়ের দিন আজ টাইগারদের

সময় কত দ্রুত গড়িয়ে যায়। ১৯৮৬ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। দেখতে দেখতে ৩০ বছরের বেশি সময় চলে গেল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও এই সময়ের মধ্যে ৩১৩টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলে ফেলল। এরমধ্যে ২১০টি ম্যাচে হার ও ৪টি ম্যাচের রেজাল্ট হয়নি। বিপরীতে ৯৯তম ওয়ানডে ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দেয়া ম্যাচে আফগানিস্তানকে গত রবিবার প্রথম ওয়ানডেতে ৭ রানে হারিয়ে ৯৯তম জয় পেয়েছে। এবার বাংলাদেশের সামনে একটি মাইলফলক অর্জনের পালা। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সামনে কোন ফরমেটে ১০০তম জয়ের হাতছানি দিচ্ছে। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানদের হারাতে পারলেই ১০০তম ওয়ানডে জয় হয়ে যাবে বাংলাদেশের। সেই জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মাশরাফিরা। ম্যাচটিতে জিতলে আফগানিস্তানকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হারানোও হয়ে যাবে। প্রথমবার আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো টানা ষষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কৃতিত্বও গড়বে মাশরাফিবাহিনী। বাংলাদেশ যে ১০০তম ওয়ানডে জয় থেকে এক ম্যাচ দূরে আছে, সেই জয় আজ নয়তো কাল মিলবেই। এ নিয়ে কোন সংশয় নেই। এখানেইতো আর বাংলাদেশের জয় থেমে থাকছে না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যদি কোনভাবে অঘটন ঘটে। তাহলে শুধু ১০০তম জয় পাওয়ার অপেক্ষাই বাড়বে। এছাড়া আর কিছুই নয়। তবে বাংলাদেশ দল কিন্তু এখন আর সেই দল নেই। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়ে জিততে হয়েছে। জয় পেতে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়েছে। বলতে গেলে, হারতে হারতে জিতেছে। অবিশ্বাস্য জয়ও মিলেছে। রহমত-হাসমতুল্লাহ যখন শতক জুটি গড়ে ফেলেন। তখন অনেকেই ধারণা করেই নিয়েছিল বাংলাদেশেরই হার হচ্ছে। তবে অভিজ্ঞতা বলে একটি কথা আছে। সেই অভিজ্ঞতাতেই মাত খেয়েছে আফগানিস্তান। দুইদলই একের পর এক ক্যাচ ও ফিল্ডিং মিস করেছে। তবে জয় ধরা দিয়েছে বাংলাদেশের কপালেই। সব ফরমেট মিলিয়ে প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে ৯ হাজার রান করা তামিম ইকবাল একবার ‘নতুন জীবন’ পেয়ে ৮০ রান করেন। ইমরুল কায়েস দুইবার ‘নতুন জীবন’ পেয়ে ৩৭ রান করার সঙ্গে তামিমকে বড় জুটি গড়তে সঙ্গ দেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৬২ রান করে আবারও দেখিয়ে দেন ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পারমানেন্ট’। আর সাকিব আল হাসানতো (৪৮) ‘অল টাইম হিটে’র মতোই দলকে কিছু একটা উপহার দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। বাংলাদেশও ২৬৫ রান করে। জবাবটা ভালই দেয় আফগানিস্তানও। হাসমতুল্লাহ (৭২) ও রহমত (৭১) মিলেই বাংলাদেশকে ভুগিয়ে ছাড়ে। দুইজন মিলে তৃতীয় উইকেটে ১৪৪ রানের জুটি গড়েন। এ দুইজন যখন ব্যাট হাতে শুধু রানই তুলে নিচ্ছিলেন, তখন মনে হয়; বাংলাদেশ বুঝি হারতেই যাচ্ছে। এরপরও সবার মনে বিশ্বাস থাকে, এ জুটি ভাঙ্গলেই আবার ম্যাচ বাংলাদেশের হাতে চলে আসবে। তাই হয়। ত্রাতা হয়ে আসেন সেই সাকিব। ১৯০ রানে রহমতের উইকেটটি শিকার করতেই পেন্ডুলামের মতো ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে যায়। এরপর যখন নিজের শেষ ওভারটিতে মাত্র ১ রান দেন সব ফরমেটেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সাকিব, তখন বাংলাদেশের জয়ের পাল্লাই ভারি হয়ে যায়। বাকি সময়টাতে ৪ উইকেট নেয়া তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেনের গতির সামনে কুলিয়ে উঠতে পারেনি আফগানিস্তান। খেলেছে পুরো ৫০ ওভার। বাংলাদেশকে চাপেও ফেলেছে। আবার ১০ উইকেটও হারিয়েছে। কিন্তু ২৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি। বাংলাদেশকে এত কষ্ট করে কেন জিততে হলো? যে দলটি গতবছর পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে পাত্তা দেয়নি, আফগানদের বিপক্ষে এমন হাল কেন হলো? এর পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। ১০ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। অনভ্যস্ততার ব্যাপার আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটওতো খেলতে নেমেছে ৬ মাস পর। স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জড়তা কাজ করেছে। সেই জড়তা কাটতে কাটতেই সময় লেগেছে। তাসকিন ও রুবেল যে শুরুতে ভাল বোলিং করতে পারেননি, সেখানেওতো রয়েছে একাধিক কারণ। তাসকিন অবৈধ বোলিং এ্যাকশন থেকে মুক্ত হয়েই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন। আর ইনজুরি কাটিয়ে রুবেলও ফিরেছেন। এখন জড়তা কেটে গেছে। তাহলেতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অন্য এক বাংলাদেশকেই মিলবে। যে বাংলাদেশ ছাত্তু বানিয়ে দেবে আফগানিস্তানকে। সত্যিই কি তা সম্ভব? সম্ভব করতে হবে। তা না হলে যে ১০০তম ওয়ানডে জিততে কিংবা টানা ষষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জিততে আরও অপেক্ষা বাড়বে। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচটি খেলে বাংলাদেশ। সেই থেকে টানা ২২ ওয়ানডে হারে। ২৩তম ওয়ানডেতে গিয়ে ১৯৯৮ সালে ভারতের হায়দরাবাদে তিনজাতি সিরিজে কেনিয়ার বিপক্ষে ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ। বর্তমান ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক আকরাম খানের নেতৃত্বে ২৮ রানে কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে জয়টি পায় বাংলাদেশ। ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। বর্তমান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ৬৮ রানে ২২ রানে জয় পায়। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে নেমে চমকও জাগায়। খালেদ মাহমুদ সুজনের অলরাউন্ড নৈপুন্যে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবার কোন টেস্ট খেলুড়ে দলকে হারিয়ে দেয়। তাও আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে! বাংলাদেশ যেন বিশ্ব ক্রিকেটে আগমনী বার্তাই দিয়ে দেয়। এরপর বাংলাদেশ টানা হারতে থাকে। ২০০৩ সাল পর্যন্ত আর কোন জয় মিলেনি। ২০০৪ সালে গিয়ে হারারেতে বর্তমান নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার সুমনের নেতৃত্বে জিম্বাবুইয়েকে ৮ রানে হারায়। এই জয়টি দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে কোন দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম জয় হয়ে আছে। একই বছর এশিয়া কাপে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। কলম্বোতে হংকংয়ের বিপক্ষে ১১৬ রানের বিশাল জয় তুলে নেয়। এতদিন শুধু হার, হার আর হার হয়েছে। মাঝে মাঝে জয় মিলেছে। এবার বাংলাদেশ যেন ক্রিকেট বিশ্বে জয়ের ধারাবাহিকতায় যেতে শুরু করে দেয়। বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে আগমনী বার্তা দেয়। আর ২০০৪ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১৫ রানে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে শক্তিশালী দলগুলোকে হুংকারই দিয়ে বসে। এ জয়টি বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম জয়। কোন দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয়ের সুযোগ তৈরি করা প্রথম সিরিজও। সেটি মিলেছে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বেই। ভারতকে হারিয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠে বাংলাদেশ দল। ২০০৫ সালে হাবিবুলের নেতৃত্বে প্রথম সিরিজ জয়ও পায়। দেশের মাটিতে জিম্বাবুইয়েকে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। কোন টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ও এটি। দেশের মাটিতে প্রথম সিরিজ জয়ও মিলে। জিম্বাবুইয়েকে সিরিজে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা যেন সাহসী হয়ে ওঠে। এবার কার্ডিফে সেই ঐতিহাসিক জয়টি মিলে। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ গড়াপেটা করায় তিন বছর নিষিদ্ধ হয়ে আবার ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় লীগ দিয়ে ফেরা মোহাম্মদ আশরাফুলের ১০০ রানে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিধর দলকে ৫ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব কাঁপিয়ে দেয় বাংলাদেশ। আশরাফুলও যেন প্রতিটি দলের জন্য আতঙ্ক হয়ে ওঠেন। এরপর ২০০৬ সালে বগুড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও যে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জিতে, সেই ম্যাচেও ৫১ রানের ইনিংস খেলেন আশরাফুল। এ জয়ের মধ্য দিয়ে এশিয়ার টেস্ট খেলুড়ে সবদলকে হারানোর কোঠা পূরণ করে ফেলে বাংলাদেশ। একই বছর বাংলাদেশের সমান শক্তির দলগুলোকেও যেন বার্তা দিয়ে দেয়। শক্তিমত্তায় এখন আর আমাদের সমান নও তোমরা। যে কেনিয়া বাংলাদেশের শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল। তাদের ৪-০তে সিরিজে হারানোর সঙ্গে প্রথমবারের মতো কোন দলকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদও পায়। একই বছর নাইরোবিতে কেনিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে দেশের বাইরেও প্রথম সিরিজ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। সেই বছরই জিম্বাবুইয়েকে ১০১ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম জয় তুলে নেয়। একই বছর দেশের মাটিতে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজে হারিয়ে জিম্বাবুইয়েকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করে। ২০০৭ বিশ্বকাপে দ্বিতীয়পর্বেই উঠে যায় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে দ্বিতীয়পর্বে ওঠার পথে ভারতকে হারিয়ে দেয়। বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয় ভারত! দ্বিতীয়পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারায়। এরপর আবার হার হতে থাকে বাংলাদেশের। সেই হার থামে ২০০৮ সালে গিয়ে। যখন আইসিএল কা-ে ল-ভ- বাংলাদেশের ক্রিকেট। এমন সময়ে গিয়ে আশরাফুলের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। স্বস্তি ফিরে আসে। ২০০৯ সালেতো টেস্ট খেলুড়ে কোন দলকে প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে সিরিজে হারায় বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশও করে। প্রতিপক্ষ দলটি হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের বছর ইংল্যান্ডকেও প্রথমবারের মতো হারায় বাংলাদেশ। এ জয়টি পেয়ে টেস্ট খেলুড়ে সব দলকে অন্তত একবার করে হারানোর ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। একই বছর নিউজিল্যান্ডকেও দেশের মাটিতে ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে। ২০১১ সালে বাংলাদেশে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে ও নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, সেটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ছিল। তবে এবার ২০১২ সালে পূর্ণ শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেশের মাটিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। পরের বছর নিউজিল্যান্ডকে আবারও ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। আবার বাংলাদেশ হারের খপ্পরে পড়ে যায়। ২০১৪ সালের নবেম্বরের আগ পর্যন্ত শুধু হারই কপালে জুটে। এরপর মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে নির্ধারিত ওভারের নেতৃত্ব দেয়া হয়। তাতেই বদলে যায় বাংলাদেশ। প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে আর মাশরাফি মিলে পুরো বাংলাদেশ দলকে বদলে ফেলেন। ২০১৪ সালের নবেম্বরে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ থেকে যে বাংলাদেশ জিততে শুরু করেছে, দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আর হারছেই না। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর গতবছর পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো সিরিজে হারানোর সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশও করে। এরপর ভারতকে ২-১ ব্যবধানে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে হারায়। দুইদলের বিপক্ষেই প্রথমবার সিরিজ জয় পায় বাংলাদেশ। মাঝখানে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালেও খেলে। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ১০তম ওয়ানডে জয় পায় বাংলাদেশ। ২০তম জয় পেতে একবছর অপেক্ষা করতে হয়। কেনিয়াকে হারিয়ে ২০তম জয় তুলে নেয়। ৩০তম জয় জিম্বাবুইয়েকে হারানোর মধ্য দিয়ে ২০০৬ সালেই তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৪০তম জয় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে ২০০৮ সালে মিলে। অর্ধশত জয় পায় বাংলাদেশ ২০০৯ সালে জিম্বাবুইয়েকে হারিয়ে। ৬০তম জয় ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজেই মিলে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেশের মাটিতে ২০১২ সালে যে সিরিজে হারায়, সেই সিরিজেই ৭০তম জয় মিলে। ৮০তম জয় পেতে আর এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। এবার নিউজিল্যান্ডকে যে আবার হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ, সেই সিরিজে ৮০তম জয়টি মিলে যায়। আর গতবছর পাকিস্তানকে যে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ, সেই সিরিজে ৯০তম জয় পেয়ে যায়। ১০০তম জয় পাওয়ার অপেক্ষা এখন। সেটি বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই মিলে যাক, সেই প্রত্যাশাই এখন সবার।
×