ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ ॥ সব কর্মসূচী স্থগিত

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ ॥ সব কর্মসূচী স্থগিত

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৭০তম জš§দিন আজ। কবি ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে শোকাহত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর জন্মদিনে দলীয় সকল কর্মসূচী স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা এবং সকালে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলের কর্মসূচী ছিল। কিন্তু শোকাহত প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোন করে এ দুই কর্মসূচীই স্থগিত করার নির্দেশ দেন। এদিকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সামনে রেখে সভানেত্রীর ধানম-ি কার্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একই কারণে স্থগিত করা হয়েছে আলোকসজ্জার কর্মসূচীও। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল জনকণ্ঠকে বলেন, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথিতযশা এই কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই দেশে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে দলের নেয়া কর্মসূচী স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে আজ ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল এবং আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা হচ্ছে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে মধুমতি নদীবিধৌত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জš§গ্রহণ করেন। তার শৈশবকাল কাটে পিত্রালয়ে। ’৫৪-এর নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা বাবা-মার সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নতুন ভূমিকায়। বিশ্বের শীর্ষ নেতারাও এখন শেখ হাসিনাকে দেখতে পান তাদেরই কাতারে। রাজনৈতিক পরিবারে জš§গ্রহণ করায় কিশোরী বয়স থেকেই তার রাজনীতিতে পদচারণা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সহজ সারল্যে ভরা তার ব্যক্তিগত জীবন। মেধা-মনন, কঠোর পরিশ্রম, সাহস, ধৈর্য্য, দেশপ্রেম ও ত্যাগের আদর্শে গড়ে উঠেছে তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। পোশাক-আশাকে, জীবনযাত্রায় কোথাও তার বিলাসিতা বা কৃত্রিমতার কোন ছাপ নেই। নিষ্ঠাবান ধার্মিক তিনি। নিয়মিত ফজরের নামাজ ও কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে তার দিনের সূচনা ঘটে। মানুষের জন্যই প্রতিদিনের প্রতিটি ক্ষণকে কাজে লাগানোর পণ তার। ৩৫ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় শেখ হাসিনা কেবল সেই মহান নেতার কন্যা এবং তার রাজনীতির উত্তরসূরি হিসেবে গণমানুষের প্রধান নেতার আসনে স্থান পাননি, তিনি জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, হত্যা চেষ্টাসহ হাজারও হুমকির মুখে অটল থেকে নেতৃত্বের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির জনকের স্বপ্ন সফল করার প্রত্যয়েই এগিয়ে চলেছেন। তাই দেশের সাধারণ মানুষ ভালবেসে তাকে ডাকেন ‘শেখের বেটি’। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় ছাত্রনেত্রী থেকে জননেত্রীতে পরিণত হওয়া শেখ হাসিনার জন্মদিন পালিত হবে অতি সাধারণভাবে। রাষ্ট্রীয়কাজে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের জন্য বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানাসহ মেয়ে, ভাগ্নে-ভাগ্নি, নাতি-নাতনির সঙ্গে পারিবারিক পরিবেশে জন্মদিন পালন করবেন শেখ হাসিনা। দেশে না থাকলেও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যার জন্মদিন উপলক্ষে গ্রহণ করেছে বিস্তারিত কর্মসূচী। ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এর পর আড়াই যুগ ধরে দেশের এই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বেই তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিজয় অর্জন করে আওয়ামী লীগ। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে প্রথমে ১৪ দলীয় জোট এবং পরে মহাঐক্যজোট গড়ে ওঠে। ১৪ দল ও মহাঐক্যজোটের তীব্র আন্দোলনের মুখে অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২২ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরী অবস্থা জারি করে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে ওই বছরের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হন শেখ হাসিনা। এরমধ্য দিয়ে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবারের সংসদ ভবন চত্বরের বিশেষ কারাগারে তাকে প্রায় ১১ মাস বন্দী থাকতে হয়। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে এর আগেও কয়েক দফা গৃহবন্দী হয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হওয়ার পর তার পরিবারকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। তিনি পুরান ঢাকার মোগলটুলির রজনী বোস লেনে বসবাস শুরু করেন। পরে তিনি যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হন। আবাস স্থানান্তরিত হয় ৩ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারী বাসভবনে। ১৯৫৬ সালে শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। এভাবেই শুরু হয় তার শহরবাসের পালা, তার নাগরিক জীবন। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর ধানম-ির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িটির দ্বারোদ্ঘাটন হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গ মৃত্যুর পূর্বদিন পর্যন্ত এই বাড়িতেই অবস্থান করেন। ১৯৬৫ সালে শেখ হাসিনা আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশী বাজারের পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গবর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারী মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে। ওই বছরই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজছাত্রী সংসদের সহসভানেত্রী পদে নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬ দফা দাবিতে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে এক অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়। শাসকগোষ্ঠী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় প্রচ- দমন-নির্যাতন। আটক থাকা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী দায়ের করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তার জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর বিপদাশঙ্কা ও দুঃসহ দুঃখ-কষ্ট। এই ঝড়ো দিনগুলোতেই কারাবন্দী পিতা বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয় ১৯৬৮ সালে। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় ১১ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ডাক আসে দেশমাতৃকার হাল ধরার। সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। এর পর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলুম, অত্যাচার কোনকিছুই তাকে তার পথ থেকে টলাতে পারেনি। অসাম্প্রদায়িক, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জীবনদৃষ্টি তাকে পরিণত করেছে এক আধুনিক ও অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কে। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় তিনি দিন বদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কা-ারী। এই অভিযাত্রায় তিনি বাঙালীর জাতীয় ঐক্যের প্রতীক ও ভরসাস্থল। অথচ ব্যক্তি শেখ হাসিনা যেন খুব সাধারণ একজন মানুষ। এ জন্যই আমাদের কাছে তিনি আরও বেশি সম্মানের, শ্রদ্ধার মানুষ হয়ে ওঠেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত দুই মেয়াদ পূর্ণ করে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন। গণতন্ত্র এবং দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি তার সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তার নেতৃত্বেই গত বছর ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। বর্তমানে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে নিয়োজিত। প্রায় ১৯ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন অবিচল। দক্ষভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় সারাবিশ্বের অনেক সম্মানজনক পদকে ভূষিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর এই কন্যা। এবারও জাতিসংঘের ৭১ তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি পুরস্কারে ভূষিত হন। তার সুযোগ্য পুত্র ও তথ্য প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ও আইসিটি খাতে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্মানকজনক পুরস্কার। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে আজ শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন পালন করবে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে কেক কাটা, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিকেল চারটায় বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর বারোটায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ বিভিন্ন এতিমখানাসহ দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করবে। এছাড়া যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনও নিয়েছে বিস্তারিত কর্মসূচী। সংস্কৃতিকর্মীরা আজ কথার সঙ্গে গানে, কবিতা ও নাচের শৈল্পিকতায় পালন করবে বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্মদিন।
×