ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর ডিসি অফিসের কর্মকর্তাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

যশোর ডিসি অফিসের কর্মকর্তাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ দুর্নীতির দায়ে যশোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তাসহ মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের সচিব, সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে ভুয়া বিল, ভাউচার ও কাগজপত্র তৈরি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মনিরামপুরের পোড়াডাঙ্গা গ্রামের আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার জেলা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন। বিচারক অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (আইন) কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডিএফও এলজিএসপি আব্দুল হালিম, মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের সচিব মিলন মল্লিক, সাবেক চেয়ারম্যান লক্ষণ চন্দ্র ধর, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মনোজ কান্তি ম-ল, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ইসমাইল হোসেন, ৭-৮-৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নিলুফা ইয়াসমিন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার অশোক ধর এবং ১-২-৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মায়া রানী রায়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে ১৪ লাখ টাকা উন্নয়ন সহায়তা বরাদ্দ করে। প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ওই টাকা দিয়ে উন্নয়ন কাজ করার কথা। যে কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়া মেম্বারদের মাধ্যমে ১৬ প্রকল্প গ্রহণ করে। এরপর নিম্নমানের ইট, রাস্তার ইটের সলিংয়ে বালি ব্যবহার না করে প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়। গত ১৫ জুলাই আসামি আব্দুল হালিম ও মিলন মল্লিক কাজ পরিদর্শনে গেলে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে মামলার বাদী অভিযোগ করেন। এ সময় তারা কাজ কর্ম দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু ১৮ জুলাই সকাল থেকে ফের কাজ শুরু করেন আসামিরা। বাদীসহ স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি আসামি আব্দুল হালিমকে জানালে তিনি নাক না গলানোর পরামর্শ দেন। এরপর ২০ জুলাই আব্দুল হালিম কাজ পরির্দশন করতে গেলে মামলার বাদী ও স্থানীয়রা তার কাছে ফের অভিযোগ করেন এবং কাজের টাকা ছাড় না করার দাবি জানান। কিন্তু আসামি আব্দুল হালিম বলেন, কাজ ঠিকঠাক হয়েছে তাহলে কেন টাকা দেব না। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় আসামি আব্দুল হালিম ২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে অনিয়মকে জায়েজ করেছেন। এর মাধ্যমে অন্য আসামিরা ৮ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। এর প্রতিবাদ করায় আসামিরা বাদী ও স্থানীয়দের হত্যা ও গুমের হুমকি দেন। আসামিরা এর আগে ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ অর্থবছরেও উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাত করেছেন। তিনি মঙ্গলবার জেলা জজ আদালতে এ মামলা করেন। পরে জেলা জজ আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। আদেশে আগামী ২৪ নবেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
×