ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশকে বড় দল মনে করেন এ ব্যাটসম্যান, উৎফুল্ল ওয়ালশ

বুধবারই সিরিজ নিশ্চিত করতে চাই ॥ মাহমুদুল্লাহ

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বুধবারই সিরিজ নিশ্চিত করতে চাই ॥ মাহমুদুল্লাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দারুণ স্নায়ুচাপের একটি ম্যাচ! শেষ পর্যন্ত জিততে পারতো যে কোন দলই। আফগানিস্তান ইনিংসের ৪৬তম ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাটাই ছিল কম। কিন্তু পরের চার ওভারেই ম্যাচটার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। রবিবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রুদ্ধশ্বাস এক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর আফগানিস্তানকে মাত্র ৭ রানে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। দীর্ঘ দশ মাস বিরতির যে অস্বস্তি এবং উদ্বিগ্ন পরিস্থিতি সেখান থেকে ফিরে শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়াতে দারুণ খুশি বাংলাদেশের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে এরচেয়েও ভাল করতে চান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি আত্মবিশ্বাসী পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশ দল স্বরূপে ফিরে ভালভাবেই আফগানদের হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করবে। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুরে এসব কথা বলেন ওয়ালশ ও মাহমুদুল্লাহ। সোমবারের অনুশীলনটা বৃষ্টির কারণে প- হয়ে গেল। তবে বৃষ্টির আগেই মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। নেমেই কিছুক্ষণ ফিল্ডিং অনুশীলন করেছেন তারা। কারণ প্রথম ওয়ানডেতে অন্তত তিনটি নিশ্চিত ও সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন। এ বিষয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘যেটা বললাম যে দশ মাস পর...ওটাই মনে হয় মূল কারণ। ফিল্ডিংটা একটু অস্বস্তিকর ছিল। আশাকরি এ জিনিসগুলো কাটিয়ে উঠব আমরা। আজ (সোমবার) বেশ কিছুক্ষণ ফিল্ডিং ড্রিলও করলাম।’ তবে তিনি মনে করেন দীর্ঘ বিরতির পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল সেটা থাকবে না পরবর্তী ম্যাচে। মাহমুদুল্লাহ আত্মবিশ্বাসী পরবর্তী ম্যাচেই দল সঠিক ছন্দে ফিরে ভালভাবে জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যতই আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করি, আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিটনেস ভিন্ন বিষয়। তো আশাকরি ওই বিষয়গুলো কাটিয়ে উঠে আমরা পরবর্তী ম্যাচে আরও ভাল করতে পারব এবং আরও ভালরূপে আমরা ফিরব। দলের সবাই এ বিষয়টা অনুভব করছে। পরবর্তী ম্যাচে হয়তোবা আমরা আরও ভাল পারফর্ম করব এবং সবগুলো বিভাগেই। সিরিজটা যাতে পরবর্তী ম্যাচে আমরা নিশ্চিত করতে পারি সেটাই চেষ্টা করব।’ চলতি বছর টি২০ এশিয়া কাপ থেকেই মাহমুদুল্লাহ আক্রমণাত্মক একটি রূপ নিয়ে হাজির হয়েছেন। যদিও এর আগে তার স্বভাবটা ছিল ধীরস্থির প্রকৃতির। প্রথম ওয়ানডেতেও তাকে বেশ আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েই খেলতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চেষ্টা ছিল আক্রমণাত্মক বা পজিটিভ ক্রিকেট খেলা। তবে আরেকটু সতর্ক থাকলে হয়তো ভাল হতো। সত্যি বলতে কি সেঞ্চুরির কথা চিন্তা করছিলাম না। যেভাবে দল আমাকে চাইবে সেভাবেই আমি পারফর্ম করার চেষ্টা করব। এই মুহূর্তে চার নম্বরে ব্যাট করছি এবং বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।’ তবে আফগানিস্তান কাগজে-কলমে অনেক ছোট দল হলেও এত চাপ নিয়ে জেতার বিষয়টি বাংলাদেশের বড় দল হয়ে ওঠার লক্ষণ বলেই মনে করেন তিনি। কারণ বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে আগে এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশই হেরেছে। এ বিষয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে ভাল দল হিসেবে আমাদেরই জেতা উচিত। সত্যি বলতে আমরা এমন অনেক ক্লোজ ম্যাচ কাছে গিয়ে হেরেছি হয়তো পারতাম, এরকম ছোট ছোট ভুলের কারণে কাছে গিয়েও হেরে যেতাম। তো মনে হয় পরিবর্তনটা চলে এসেছে এবং আস্তে আস্তে আমাদের মধ্যেও পরিবর্তনটা গড়ে উঠছে। আফগানিস্তান অনেক ভাল দল। তো আমাদের ভাল ক্রিকেট খেলেই জিততে হবে প্রতিটা ম্যাচ।’ বোলিং কোচ ওয়ালশও দারুণ সন্তুষ্ট দলের নৈপুণ্যে। তিনি বোলারদের প্রশংসা করে বলেন, ‘ছেলে দু’টো অসাধারণ ভাল বোলিং করেছে শেষ দুই ওভারে। সাকিব খেলা পাল্টিয়ে দেয়া একটা ওভার করেছে এবং এটাই সবকিছু ঠিক করে দিয়েছে। অন্য ছেলেরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে এবং রানরেটে বেড়ে গেছে। এটা দারুণ একটা দলগত নৈপুণ্য। আমি মনে করি অধিনায়ক খুব ভাল বল করেছে এবং ভালভাবেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।’ তাসকিনের ফিরে আসাটা পুরো দলের জন্যই ছিল দারুণ সুখবর। কিন্তু শুরুর দিকে একটুও প্রভাব খাটাতে পারেননি তিনি। অথচ শেষ দুই ওভারে তিনিই হয়ে গেছেন জয়ের নায়ক। এ বিষয়ে ওয়ালশ বলেন, ‘আমরা তাকে একটি বার্তা দিয়েছি যেন তিনি কিছুটা স্বস্তিতে থাকার চেষ্টা করেন এবং মনে করিয়ে দিতে চেয়েছি প্র্যাকটিসে আমরা কি করেছি।
×