ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্মরণসভায় শ্রদ্ধাঞ্জলি আতাউস সামাদ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

স্মরণসভায় শ্রদ্ধাঞ্জলি আতাউস সামাদ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রয়াত সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য কখনও আপোস করতেন না। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথা বলেন সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। সাংবাদিক আতাউস সামাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ এ সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আতাউস সামাদ যেভাবে প্রতিবেদন তৈরি করতেন তা সত্যিই অনুকরণীয়। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণে তাঁকে জেলও খাটতে হয়েছে। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আতাউস সামাদের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। বক্তারা আরও বলেন, তিনি সব সময় দেশ ও মানুষের কথা ভাবতেন। এজন্য তাঁর সাংবাদিকতা, প্রতিবেদন তৈরি ও কাজে দেশপ্রেম ফুটে উঠত। সব সময় সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তাছাড়া সাংবাদিকতা মানেই প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু তিনি নিজেকে কখনও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আটকে রাখতে চাননি। সব কিছুর পরেও সঠিক কাজটি করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন তিনি। আতাউস সামাদ সাংবাদিকতার শিক্ষক ছিলেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, তাঁর অকুতোভয় ও সাহসী লেখনী বাংলাদেশের মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী। বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ। এর আগে সকালে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে আজিমপুর কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত করা হয়। আতাউস সামাদ ২০১২ সালের এই দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। কর্মজীবনে তিনি পাকিস্তান অবজারভার ও বাংলাদেশ অবজারভার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), বিবিসিসহ দেশের ও দেশের বাইরের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৯২ সালে একুশে পদক পান।
×