ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গান কবিতায় আনন্দ আয়োজন

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গান কবিতায় আনন্দ আয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কাল বুধবার জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনার গুরু দায়িত্বকে ছাপিয়েও তিনি সংস্কৃতিপ্রাণ এক মানুষ। রাষ্ট্রনায়কের বাইরেও তিনি দেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি ভুবনের অতি আপনজন-এমনটিই মনে করেন সংস্কৃতিকর্মীরা। আর সে কারণেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। কথার সঙ্গে গান, কবিতা ও নাচের শৈল্পিকতায় উদ্্যাপিত হবে শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন। এ লক্ষ্যে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উদযাপন কমিটি। এই কমিটির আয়োজনে বুধবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে উদযাপন কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিশ^ আইটিআইয়ের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন আতাউর রহমান, নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহ্্কাম উল্লাহ্, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল আকতারুজ্জামান প্রমুখ। লিখিত বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উদযাপন কমিটি সদস্য-সচিব গোলাম কুদ্দুছ। এতে জানানো হয়, শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উদযাপন কমিটি আহ্বায়ক সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের লেখা উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠানের। গানটি পরিবেশন করবেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখবেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। প্রধানমন্ত্রীকে নিবেদিত শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন গোলাম কুদ্দুছ। জন্মদিনের এই আয়োজনে অভিনয়ের মাধ্যমে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানাবেন খ্যাতিমান দুই অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার ও শিমুল ইউসুফ। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন মিতা হক, ফরিদা পারভীন, রথীন্দ্রনাথ রায়, খায়রুল আনাম শাকিল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখার শিল্পীরা। স্বরচিত কবিতাপাঠ করবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি মুহাম্মদ সামাদ ও কবি তারিক সুজাত। শেখ হাসিনার লেখা থেকে পাঠ করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম, হাসান আরিফ, লায়লা আফরোজ ও আহ্্কাম উল্লাহ্্। সংবাদ সম্মেলনে রামেন্দু মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় একজন সংস্কৃতিবান মানুষকে অভিবাদন জানানোর জন্যই এ আয়োজন। পিতার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে তিনি যেভাবে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এটা বিরল। তার এই যাত্রাপথে আমাদের এই সামান্য নিবেদন মাত্র। আতাউর রহমান বলেন, এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কারণ রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে যেভাবে তিনি উন্নয়ন করেছেন সেটা বিরল দৃষ্টান্ত। কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের কবিতা চর্চার যাত্রাপথের শুরুতে তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। এমনকি প্রথম অনুষ্ঠানেও ছিলেন। এরপর থেকে আমাদের প্রতিটি আয়োজনে, সংগ্রামে তিনি অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করেছেন। নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, জাতির জনককে হত্যার পর এক প্রতিকুল পরিবেশে উদ্বাস্তু জীবন থেকে ফিরে এসে তিনি আমাদের সাহস যুগিয়েছেন। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার দক্ষ পরিচালনার জন্যই দেশের সংস্কৃতিকর্মী তথা সর্বশ্রেণীর মানুষের মধ্যে কর্মস্পৃহা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, পিতা-মাতা ও স্বজন হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে সকল বাধা বিঘœ ষড়যন্ত্রকে দৃঢ়চিত্তে ঠেলে একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করে বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। সাহসী ও দায়বদ্ধ এই নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরূপ আমাদের এই আয়োজন। জাতীয় নাট্যোৎসবের তৃতীয় দিন ॥ ‘এ মাটি নয় জঙ্গীবাদের, এ মাটি মানবতার’ সেøাগানে চলছে ১৮ দিনব্যাপী জাতীয় নাট্যোৎসব। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল ও স্টুডিও থিয়েটার হল এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনকে প্রদর্শিত হচ্ছে নাটকগুলো। ঢাকার বাইরের ৮টি বিভাগের ২৬টি এবং শিল্পকলা একাডেমিসহ ঢাকা মহানগরের ৩২টিসহ মোট ৫৮টি নাট্যদলের নাটক নিয়ে সাজানো হয়েছে এ উৎসবক। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এ উৎসবের তৃতীয় দিন ছিল সোমবার। এদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় তিনটি নাটক। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় দেশ নাটকের প্রযোজনা অরক্ষিতা। নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় ঢাকা পদাতিকের প্রযোজনা হেফাজত। মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় দৃশ্যপটের নাটক সক্রেটিসের জবানবন্দী।
×