ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অফিসের পর সচিবালয়ে অবস্থান সম্পর্কে নির্দেশনায় সংশোধনী আনা হচ্ছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

অফিসের পর সচিবালয়ে অবস্থান সম্পর্কে নির্দেশনায় সংশোধনী আনা হচ্ছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ অফিস সময়ের পর মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ে অবস্থান করতে পারবেন না বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনায় সংশোধনী আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সচিবালয়ে অবস্থানের বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি কিছুটা সংশোধন করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর মন্ত্রী-সচিবদের অফিস করতে বাধা নেই। তিনি বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় নিহত পাঁচ জঙ্গীর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। এই লাশগুলোর কোন দাবিদার পাওয়া যায়নি। অভিভাবকরা ক্ষোভ ও দুঃখে লাশ গ্রহণ করছেন না। একজন অভিভাবক তো গণমাধ্যমেই বলেছেন, গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গীকে তিনি পুত্র বলে স্বীকার করেন না। সচিবালয়ে সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া অফিস সময়ের পর সচিবালয়ে কেউই অবস্থান নিতে পারবেন না। যদি রাতে সচিবালয়ে অবস্থান করা অপরিহার্য হয়, তবে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রয়োজন হলে মন্ত্রী ও সচিবরা কোন প্রকার নোটিস ছাড়াই নির্ধারিত সময়ের পরও অফিস করতে পারবেন। এজন্য মন্ত্রী ও সচিবদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারাও প্রয়োজনে বিনা নোটিসে সচিবালয়ে অবস্থান করতে পারবেন। তিনি বলেন, সচিবালয়ে অবস্থানের বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে তা নতুন করে জারি করা হবে। সচিবালয়ের নিরাপত্তার প্রশ্নেই এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে নিহত পাঁচ জঙ্গী ও শেফের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। কারণ এই লাশগুলোর কোন দাবিদার পাওয়া যায়নি। অভিভাবকরা ক্ষোভ ও দুঃখে লাশ গ্রহণ করেননি। একজন অভিভাবক তো বলেছেনই- গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গীকে তিনি পুত্র বলে স্বীকার করেন না। বাংলাদেশে জঙ্গী-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জোরগলায় বলতে পারি, অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের দেশ নিরাপদে আছে। গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর দেশে জঙ্গী তৎপরতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আমি যদি বলি, আপনারাই বলুন, জঙ্গী নিয়ন্ত্রণে কি-না? বাকিদের মরদেহও আঞ্জুমানে দেয়া হবে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পরিবার জঙ্গীদের মরদেহ না নেয়ায় ৫ জঙ্গীর মরদেহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে দেয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যালে রাখা বাকি জঙ্গীদের মরদেহ যদি কেউ না নেন, তাহলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাকে দেয়া হবে। গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার ৮৩ দিন পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) রাখা ৫ জঙ্গীসহ ৬ জনের মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা ১৪ জঙ্গীর মরদেহ আঞ্জুমানে দেয়া হবে কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীদের মরদেহ নেয়ার জন্য তাড়া দেয়া হচ্ছিল। আমরা নিকটাত্মীয় কিংবা পরিবারের সদস্যদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, কোন নিকটাত্মীয়ই মরদেহ নিতে আগ্রহ দেখাননি। তারা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, এই কুপুত্র আমি স্বীকার করি না। কেউ তাদের আত্মীয় বলেও পরিচয় দিচ্ছেন না। ক্ষোভ ও ঘৃণা থেকে তাদের নিয়েও যাচ্ছেন না।
×