ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গফরগাঁও স্টেশন কালোবাজারি মুক্ত

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গফরগাঁও স্টেশন কালোবাজারি মুক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ২৬ সেপ্টেম্বর ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারির বিরুদ্ধে পৌর মেয়র ইকবাল হোসেন সুমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা অভিযানে নেমেছে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আগে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে পৌর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটানা দুই সপ্তাহের অভিযানের ফলে দীর্ঘদিন পর গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন কালোবাজারিমুক্ত হয়েছে। গফরগাঁও স্টেশনটি ‘বি’ গ্রেড হলেও সবচেয়ে ব্যস্ত রেলস্টেশন এটি। প্রতিদিন গফরগাঁও ও পার্শ^বর্তী হোসেনপুর, নান্দাইল ও ত্রিশাল উপজেলার একাংশের ৮-৯ হাজার যাত্রী এ স্টেশন হয়ে রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে যাতায়াত করে। জানা গেছে, এ স্টেশনের ওপর দিয়ে যাতায়াতকারী রাজধানীগামী ৬ আন্তঃনগর ট্রেনের ১৮০টি আসনযুক্ত টিকেটের বিপরীতে প্রতিদিন গড়ে চার হাজার টিকেট বিক্রি হয়। টিকেট স্বল্পতা ও চাহিদার কারণে কালোবাজারিদের সিন্ডিকেট বছরের পর বছর ধরে কাউন্টারের সামনে ‘ঢাকা সিট, ঢাকা সিট’ হাঁকিয়ে টিকেট বিক্রি করে। ৮৫ টাকা মূল্যের টিকেট বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এমনকি ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। এমনকি প্লাটফর্মের পান দোকান ও সেলুনেও ট্রেনের টিকেট বিক্রি হয়েছে। গফরগাঁও স্টেশনে যাত্রী বেশি থাকায় ময়মনসিংহ স্টেশনের ঢাকাগামী অধিকাংশ টিকেট কালোবাজারিরা সংগ্রহ করে ৩-৪ গুণ দামে গফরগাঁও স্টেশনে বিক্রি করেছে। পৌর মেয়র ইকবাল হোসেন সুমন, পৌর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ উদ্যোগ নেয় কালোবাজারি বন্ধের। ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রশাসন ও গফরগাঁও থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেয়র ইকবাল হোসেন সুমনের নেতৃত্বে পৌর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা রেলস্টেশনে টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। কালোবাজারিরা টিকেট বিক্রি করতে এলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। বাগেরহাটে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদ- ৪ জনের যাবজ্জীবন স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে ডাকাতিকালে শাহীন শেখকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় এক আসামির মৃত্যুদ- ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ হয়েছে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন। আদালত একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই বছর কারাভোগের আদেশ দেন। মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্ত সোহাগ শেখ রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। সোহাগ মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের আমির আলী শেখের ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ প্রাপ্ত চার আসামি পলাতক। এরা হলো খুলনা মহানগরের টুটপাড়া এলাকার আল-আমিন ওরফে তুহিন, খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের সোহাগ ওরফে জাহিদ, বটিয়াঘাট উপজেলার গাঁও গ্রামের মহির শেখ ওরফে নাজমুল, রূপসা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন। ২০১১ সালের ২৯ জুলাই রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকায় স্থানীয় গৌরাঙ্গ দেবনাথকে কুপিয়ে জখম করে পাঁচ-ছয়জনের একদল ডাকাত। পরে তারা তার মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত গৌরাঙ্গ মোবাইল ফোনে খবর দিলে তার লোকজন আশপাশে ডাকাত ধরার অভিযান চালায়। ডাকাতদল বড় পাইকপাড়া গ্রামের শাহীন শেখের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শাহীন চিৎকার করলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
×