ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তিতাস গ্যাসের বিতরণ চার্জ বাড়ানোর আশ্বাস

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

তিতাস গ্যাসের বিতরণ চার্জ বাড়ানোর আশ্বাস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ধৈর্য ধরুন, বিতরণ চার্জ বাড়ানো হবে। রবিবার রাতে ডিএসই ব্রোকারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিবিএয়ের সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আরিফ খান। বক্তব্য রাখনে কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিইআরসিসহ বিভিন্ন জায়গার দায়িত্বশীলরা পুঁজিবাজার বুঝে না। তাই এমন অনেক সিদ্ধান্ত চলে আসে। তিনি বলেন, হয় তো তিতাসের চার্জ আবার বাড়তে পারে। তবে এটি যে বাড়বেই, তেমন কোন নিশ্চয়তা দেননি তিনি। উল্লেখ, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে বিইআরসি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে আলোচনা না করে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গ্যাস বিতরণ মাশুল (প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের) ৩২ পয়সা থেকে কমিয়ে ২২ পয়সা নির্ধারণ করে। অথচ কোম্পানিটির গ্যাস বিতরণে খরচ হয় তার চেয়ে বেশি। প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিতরণে তিতাসের গড় ব্যয় ২৯ পয়সা। নতুন হার ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর কার্যকর হয়। এতে তিতাস গ্যাসের মুনাফায় ধস নামে। নতুন বিতরণ হার কার্যকর হওয়ার পরবর্তী প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ’১৫) তিতাস গ্যাসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ৩২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ১৬ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে আয় কমে প্রায় ৮৫ শতাংশ। বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, বিদ্যুত খাতে বিনিয়োগ করার প্রতি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা আছে। যাতে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুত খাতকে উন্নয়নে অর্থায়ন করা যেতে পারে।
×