ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশের সব জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হবে

প্রকাশিত: ০২:৪৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দেশের সব জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হবে। যেসব জেলায় রেল লাইন নেই, সেসব জেলায় নতুন রেল লাইন স্থাপন করা হবে। আর যেসব জেলায় রেল লাইন আছে, সেসব লাইন সংস্কার করে প্রতিটি জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হবে। এটা এখন অনেকেরই দাবী। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সরকারি দলের অপর সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের দারিদ্র্য নিরসনকল্পে বর্তমান সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পিত ও সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার বিগত মেয়াদে ‘রূপকল্প ঃ ২০২১’ কে সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২১) প্রণয়ন করে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় গৃহীত সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহের অন্যতম হচ্ছে- ‘২০২১ সাল নাগাদ দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী জনগণের সংখ্যা বর্তমানের (২০১০) ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা’। তিনি আরও জানান, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদ শেষে দেখা যায় যে, ২০১৫ সালে অনুমিত রাখা গুণতি দারিদ্র্য হার ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ (প্রাক্কলিত) এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ২০১৬ সালে দারিদ্র্যেও হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ। দারিদ্রবান্ধব উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের কারণেই দারিদ্র্য হার প্রত্যাশিত মাত্রায় কমে আসছে। বাস্তবায়নাধীন সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০)-এর প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২০ সাল নাগাদ দারিদ্র্য হার হবে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে এ বরাদ্দের প্রায় সম্পূর্ণই ব্যয়িত হবে এবং যা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্রের বেড়াজাল থেকে বের হতে সহায়তা করবে। আগামী বাজেটে এ বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি পাবে।
×