ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতিকর্মীদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতিকর্মীদের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক সংবাদ সম্মেলন করে সংস্কৃতিকর্মীরা। শেখ হাসিনার ৭০ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটি আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার ৭০ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটি আহবায়ক সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের লেখা উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হবে। গানটি পরিবেশন করবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করবেন ইমরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও শেখ হাসিনার ৭০ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটি সদস্য সচিব গোলাম কুদ্দুছ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীকে নিবেদিত শুভেচ্ছ বক্তব্য প্রদান করবেন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানের বিস্তারিত কর্মসূচি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জন্মদিনের এই আয়োজনে অভিনয়ের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাবেন অভিনেত্রী ফেরদৌসি মজুমদার ও শিমুল ইউসুফ। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মিতা হক, ফরিদা পারভীন, রথীন্দ্রনাথ রায়, খায়রুল আনম শাকিল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখার শিল্পীরা। স্বরচিত কবিতা পাঠ করবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি মুহাম্মদ সামাদ ও কবি তারিক সুজাত। শেখ হাসিনার লেখা থেকে পাঠ করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বচিক শিল্পী আশরাফুল আলম, হাসান আরিফ, লায়লা আফরোজ ও আহকামউল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল আক্তারুজ্জামান, সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, জোটের সাধারণ সম্পাদক বাচিক শিল্পী হাসান আরিফ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ আহকামউল্লাহ্, সহ-সভাপতি বাচিক শিল্পী রফিকুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও সাংবাদিকদেও প্রশ্নের জবাব দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও শেখ হাসিনার ৭০ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটি সদস্য সচিব গোলাম কুদ্দুছ। সংবাদ সম্মেলনে রামেন্দু মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় একজন সংস্কৃতিবান মানুষকে অভিবাদন জানানোর জন্যই এ আয়োজন। পিতার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে তিনি যেভাবে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এটা বিরল। তার এই যাত্রাপথে আমাদের এই সামান্য নিবেদন মাত্র। নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, জাতির জনকে হত্যার পর এক প্রতিকুল পরিবেশে উদ্বাস্তু জীবন থেকে ফিওে এসে তিনি আমাদেও সাহস যোগিয়েছেন। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার দক্ষ পরিচালনার জন্যই দেশের সংস্কৃতিকর্মী তথা সর্বশ্রেণীর মানুষের মধ্যে কর্মস্পৃহা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তার সংগ্রামী জীবন ও দেশ পরিচালনা আমাদেও আশ্বস্থ করেছে সুতরাং কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমাদের এই আয়োজন। ফকির আলমগীর বলেন, তিনি আমাদের প্রথম এবং শেষ ঠিকানা। তিনি বেঁচে থাকলে আমাদেও এগিয়ে চলার পথ প্রশস্থ হবে। আতাউর রহমান বলেন, এমন একজন কৃতি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন আমাদের দায়িত্বেও মধ্যে পড়ে। কারণ রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে যেভাবে তিনি উন্নয়ন করেছেন সেটা বিরল দৃষ্টান্ত। কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের কবিতা চর্চার যাত্রাপথের শুরুতে তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। এমনকি প্রথম অনুষ্ঠানেও ছিলেন। এরপর থেকে আমাদের প্রতিটি আয়োজনে, সংগ্রামে তিনি অগ্রপথিকের ভ’মিকা পালন করেছেন। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে অগ্রিম শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানাই। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, পিতা-মাতা ও স্বজন হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে সখল বাধা বিঘœ ষড়যন্ত্রকে দৃঢ়চিত্তে ঠেলে ফেলে একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করে বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। সাহসী ও দায়বদ্ধ এই নেতৃত্বেও প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরূপ আমাদের এই আয়োজন।
×