ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাসপাতালে আলম খান

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

হাসপাতালে আলম খান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরেণ্য সঙ্গীত পরিচালক আলম খান আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে রবিবার বিকেলে তাকে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঙ্গীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী ও কবীর বকুল শমরিতা হাসপাতালে গিয়েছিলেন এই বরেণ্য শিল্পীকে দেখতে। আলম খানের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে দিনাত জাহান মুন্নী তার ফেসবুক পেজে লিখেন, সুরকার আলম খান। জীবনে কখনো ঔদ্ধত্য-রাগ-অহংকার-পরনিন্দা-লোভ যাকে ছুঁতে পারেনি। তার অসংখ্য সুপারহিট গানের তালিকার কিছু গান পরে স্ট্যাটাসে জানাবো। তিনি লিখেন, সারা পৃথিবীতে কোন শিল্পীকে সাহায্য চাইতে হয় না কেবল আমাদের দেশেই চাইতে হয়। কারণ ‘রয়েলিটি’ বলে সোনার হরিণটা এই গুনীজনরা দেখেননি। তার অসংখ্য গানের কথা বাদই দিলাম কেবল তার ‘ওরে নীল দরিয়া’ গানটির রয়েলিটি তাকে বুঝিয়ে দিন। নয়তো তার চিকিৎসার ভার রাষ্ট্র নিন। কারণ তিনি এই দেশের গানের ইতিহাস নির্মাতাদের একজন। তিনি এখন অসুস্থ। ২০১০ সালে আলম খানের ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপরে তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে নেওয়া হয়। সেখানে তার ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করার পরে কিছু দিন ভালো থাকলেও পরে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০১৫ সালে তার হৃদযন্ত্রে ধরা পড়া একটি ব্লকে রিং-ও পরানো হয়েছে। ১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে ‘তালাশ’ সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন আলম খান। তার কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’ ইত্যাদি। তিনি ১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
×