ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যেসব কারণে মারা যায় শিশু গালিবা

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

যেসব কারণে মারা যায় শিশু গালিবা

অনলাইন রিপোর্টার॥ অপরিপক্বতা, কম ভর ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়া ও রক্তনালী সংকুচিত হয়ে হৃদপিণ্ড কাজ না করার কারণে শিশু গালিবা হায়াত মারা গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত ১২ সদস্যের টিমের প্রধান নবজাতক বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আবু ইউসূফ রাজ আজ সোমবার এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ‘শিশুটির রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় হার্ট কাজ করছিল না। তার প্রেসার আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। শিশুটির শরীরের প্রতিটি অর্গান আন্ডারডেভেলপ ছিল। শিশুটি যদি আরও একটু সময় দিতো, তাহলে তাকে বাঁচানো যেতো। ফুসফুসতো আর রাতারাতি ডেভেলপ করানো যায় না। তার ম্যাচিউরিটি যতো বাড়তো ভরও ততো বাড়তো। শিশুটি সার্ভাইভ করার শক্তি পেতো। আবু ইউসূফ রাজ জানান, স্কয়ার হাসপাতালে ২৪ সপ্তাহ ও ৬০০ গ্রাম ভরের শিশু বাঁচানোর রেকর্ড আছে। কিন্তু শিশুটি ছিল ২৩ সপ্তাহের এবং ৪৫০ গ্রাম ভরের। এই পাঁচ/সাত দিনের গ্যাপটা অনেক বড়। অপরিপক্বতার কারণেই শিশুটি মারা গেছে। তার ভর ছিল মাত্র ৪৫০ গ্রাম। ২৩ সপ্তাহেই শিশুটির জন্ম হয় যা অপরিণত। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, ‘এর আগে শিশুটি বেশ কয়েক হাত ‍ঘুরে এসেছে। এ কারণে তার বেশ কিছু ইনফেকশনও ছিল। যার কারণে শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। আজ সোমবার সকাল ৯টায় শিশুটির মরদেহ হস্তান্তরের কথা থাকলেও শিশুটির বাবা নাজমুল হুদা মিঠু বলেন, ফরিদপুরে তার স্ত্রী মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে তাদের পরিবারে নানা রকমের জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে অন্য স্বজনরা হাসপাতালে আছেন। এদিকে, শিশুটির চিকিৎসার খরচের অর্ধেক স্কয়ার গ্রুপের এমডি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেবেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। এর আগে, শনিবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে পারটেক্স এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার করে ফরিদপুর থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বেসরকারি হাসপাতাল ডা. জাহেদ শিশু মেমোরিয়াল হাসপাতালে জন্ম নেয় নাহমুল হুদা ও নাজনীন আক্তার দম্পতির কন্যাশিশু গালিবা হায়াত। পরে চিকিৎসকেরা শিশুটিতে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই শিশুটিকে দাফন করতে কবরস্থানে নেওয়া হলে দাফনের আগে সে নড়ে ওঠে। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
×