ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারত ১১-০ ওমান, চাইনিজ তাইপে ও পাকিস্তানের বড় জয়

ওমানকে বিধ্বস্ত করে ঘুরে দাঁড়াল ভারত ॥ অনুর্ধ-১৮ এশিয়া কাপ হকি

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ওমানকে বিধ্বস্ত করে ঘুরে দাঁড়াল ভারত ॥ অনুর্ধ-১৮ এশিয়া কাপ হকি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগেরদিনই বাংলাদেশের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে (৪-৫) গিয়ে হোঁচট খেয়েছিল ভারত। পরে এ হারের শোক তারা কাটিয়ে উঠেছে পরের ম্যাচে, ভালমতোই। ‘বেক্সিমকো অনুর্ধ-১৮ এশিয়া কাপ হকি’তে ‘পুল’-এর ম্যাচে ভারত তাদের নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ গ্রুপ ম্যাচে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানকে বিধ্বস্ত করেছে ১১-০ গোলে। রবিবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই খেলার প্রথমার্ধে বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ৬-০ গোলে। ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন ভারতের দিলপ্রিত সিং। তিনি করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ গোল। এদিকে একইদিনে, একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত পুল ‘বি’র অপর দুই ম্যাচে বড় জয় কুড়িয়ে নিয়েছে চাইনিজ তাইপে এবং পাকিস্তান। চাইনিজ তাইপে ৯-০ গোলে হারায় হংকংকে। পাকিস্তান ৬-০ গোলে হারায় চীনকে। আগেরদিন চাইনিজ তাইপে ১-৬ গোলে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল। চীনের এটা টানা দ্বিতীয় জয়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা ৬-০ গোলে হংকংকে হারিয়েছিল। ভারত-ওমান ম্যাচে ভারত ম্যাচের শুরু থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত খেলেছে দাপটের সঙ্গে, আধিপত্য বিস্তার করে, সমানতালে। বলতে গেলে পাত্তাই পায়নি ওমান। অথচ তারা নাকি এই টুর্নামেন্ট খেলতে আসার আগে হল্যান্ড ও পাকিস্তান গিয়ে সিরিজ খেলে এসেছে! সেই প্রস্তুতি যে কেমন মানের ছিল, সেটা তাদের খেলার ধরনেই আন্দাজ করা গেছে। এই জয়ে এই আসরের নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তুললো ভারত। ৮ মিনিটে গোলের ‘হালখাতা’ উদ্বোধন করে ভারত। পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন নীলম সন্দ্বীপ (১-০)। ১৫ মিনিটে আবারও পিসি থেকে সন্দ্বীপ গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন (২-০)। পরের মিনিটে আবারও গোল ভারতের। এবার ফিল্ড গোল করেন অভিষেক (৩-০)। ২৬ মিনিটে শিভম আনন্দ আরেকটি গোল করেন (৪-০)। ৩০ মিনিটে কনজেনবাম আরেকটি গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-০। ৩৪ মিনিট থেকে শুরু হয় দিলপ্রিত সিং ম্যাজিক। চমৎকার একটি ফিল্ডগোল করেন তিনি (৬-০)। ৪০ মিনিটে কনজেনবাম আরেকটি গোল করেন (৭-০)। ৫২ মিনিটে সন্দ্বীপ নিজের তৃতীয় গোলটি করেন (৮-০)। পরের মিনিটেই ব্যবধান বৃদ্ধি করেন দিলপ্রিত (৯-০)। ৬২ মিনিটে কনজেনবাম নিজের তৃতীয় গোল করেন (১০-০)। ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে নিজের তৃতীয় গোলটি করে ওমানের হারের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন দিলপ্রিত (১১-০)। এদিকে পাকিস্তান-চীন ম্যাচে পাকিস্তান খেলার প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। চীন প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে মোটামুটি আটকে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে তাদের রক্ষণভাগ ভেঙ্গে পড়ে তাসের ঘরের মতো। খান আমজাদ আলী খান, আলী আজিজ এবং আফরাজ প্রত্যেকে জয়ী দলের হয়ে জোড়া গোল করেন। চাইনিজ তাইপে-হংকং ম্যাচটিও ছিল গোলবন্যায় ভরা। চাইনিজ তাইপে খেলার প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল ৩-০ গোলে। স্কোরলাইনেই বোঝা যাচ্ছে দ্বিতীয়ার্ধেই তারা ছিল বেশি ভয়ঙ্কর এবং আক্রমণাত্মক। চাইনিজ তাইপের অধিনায়ক জু ইউ হুয়াং একাই করেন চারটি গোল। যদিও হ্যাটট্রিক করতে পারেননি তিনি। এছাড়া চিন ফেং লিউ করেন জোড়া গোল। একটি করে গোল করেন ফেন এন লিন, টিং ওয়েই চেং এবং সুং জেন শিহ্।
×