ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করলে লোকসানের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করলে লোকসানের আশঙ্কা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্টেকহোল্ডাররা। ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার বা কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্ধারণে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। ডিএসইর এক পরিচালক জানান, ডিএসইর আয়-ব্যয়ের যে অবস্থা, তাতে খুব একটা বেশি দাম পাওয়া যাবে না। সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ টাকা পাওয়া যেতে পারে। এতে বর্তমানে শেয়ার বিক্রি করতে গেলে স্টেকহোল্ডারদের লোকসান গুনতে হবে। তাই ডিএসইর শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা ঠিক হবে না। তবে আইনানুযায়ী এই বিনিয়োগকারী আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে খুঁজে পেতে হবে। এর আগে ২০১৩ সালে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক করতে ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন প্রণয়ন করা হয়। এই অনুসারে ডিসেম্বরের মধ্যে ডিএসইকে ২৫ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রি করতে হবে। ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মালিকরা পাবেন ৪০ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৩৫ শতাংশ শেয়ার পরবর্তীতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। ইতোমধ্যে নাসডাক, বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি), কমনওয়েলথ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিডিসি), সুইডেনভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্রামার্স এ্যান্ড পার্টনার্স, জার্মানিভিত্তিক কেএফডব্লিউ, হংকংভিত্তিক কিংস ওয়ে ক্যাপিটাল ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান স্কয়ারের সমন্বয়ে পরিকল্পিত কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধিরা ডিএসইর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর শেষে ডিএসইর প্রতিটি শেয়ারে সম্পদ (এনএভিপিএস) মূল্য দাঁড়ায় ১১ টাকা ৬৮ পয়সা। এ অর্থবছরে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারে আয় (ইপিএস) করে ৭৫ পয়সা। আর সর্বশেষ অর্থবছর (২০১৫-১৬) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় আরও কমেছে। এ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানাটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭০ পয়সার মতো। এতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি শেয়ারে সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ টাকা পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই দামে শেয়ার বিক্রি করলে বড় ধরনের লোকসান হবে ট্রেকহোল্ডারদের। কারণ বর্তমানে ডিএসইর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এর বিপরীতে শেয়ার রয়েছে ১৮০ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০টি। আর এই শেয়ারের মালিকানায় আছেন ২৫০ জন। এ হিসাবে প্রত্যেক স্টেকহোল্ডার (শেয়ারের মালিক) ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১০৬টি করে শেয়ার পাবে। এতে প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা করে বিক্রি করলে একজন স্টেকহোল্ডারের সব শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৪ লাখ টাকা অথচ ৪ বছর আগে একটি সদস্য পদ কিনতে ৩২ কোটি টাকার ওপরে খরচ করতে হয়েছে।
×