ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের জন্য সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নেবে

’১৯ সালে যে কোন ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে বিএনপি

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

’১৯ সালে যে কোন ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে বিএনপি

শরীফুল ইসলাম ॥ একবার নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি যে ভুল করেছে সে ভুল আর করতে চায় না। যে কোন ধরনের সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলীয় হাইকমান্ড। আর তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগেভাগেই নানান হিসেবনিকেশ করছে। এরই অংশ হিসেবে নতুন নির্বাচন কমিশন যেন নিরপেক্ষ হয় সে জন্য সরকারকে চাপে রাখবে বিএনপি। এ জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে সরব থাকার কৌশল নিয়েছে দলটি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আসছে ফেব্রুয়ারি মাসে। এর আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। ইতোমধ্যেই বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবি উঠেছে। সরকারী দলের পক্ষ থেকে সার্চ কমিটি গঠন করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে যেন এ কমিশন গঠন করা হয়। সূত্র মতে, বিএনপি দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দেয়ার জন্য দাবি করে আসলেও ধরে নিয়েছে এ সরকার মেয়াদ শেষের আগে নির্বাচন দেবে না। আর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে। তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ থাকে তাহলে তারা সে নির্বাচনে ভাল ফল করবে। আর এ জন্যই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই বিএনপি সরকারকে নানামুখী চাপে রাখতে চায়। নতুন নির্বাচন কমিশন যেন নিরপেক্ষ হয়, বিশেষ করে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার যেন সকল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সে জন্য ইতোমধ্যেই বিএনপি নেতারা সভা-সমাবেশে কথা বলতে শুরু করেছেন। পরবর্তীতে দলীয়ভাবে এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠকসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে। প্রয়োজনে এ নিয়ে আন্দোলনেও যেতে পারে। এ ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবিকে জোরদার করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও এ নিয়ে জনমত তৈরি করতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দলের সিনিয়র নেতারা সারাদেশে গণসংযোগ করবেন। এ ছাড়া এ ইস্যুতে বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করানোর লক্ষ্য নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের পাশাপাশি বিদেশী লবিস্টদের কাজে লাগাবে বিএনপি। এ জন্য বিভিন্ন কর্মকৌশলও হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, হজ করতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সৌদিআরবে অবস্থানকালে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দলের ভবিষ্যত কর্মসূচী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় প্রাধান্য পায় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি। ওই আলোচনায় নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে সরকারকে চাপে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত হয়। তাই খলেদা জিয়া হজ করে দেশে ফেরার পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা জোরেশোরে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তারা এ দাবি অব্যাহত রাখবে বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি আরও জোরদার করা হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে তারা সোচ্চার থাকলেও শেষ পর্যন্ত যে কেন ধরনের সরকারের অধীনে এমনকি বর্তমান সরকারের অধীনে হলেও পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে তারা চায় নির্বাচন কমিশন যেন নিরপেক্ষ হয়। আওয়ামী লীগের অনুগতদের দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক তা চায় না দলটি। তাই তারা চায় নিরপেক্ষ এবং কারো প্রতি অনুগত নয় এমন লোকদের দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গতবারের মতো এবারও সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা ইতোমধ্যেই এমন আভাস দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিএনপির পক্ষ থেকে দলের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলে আসছেন আগের মতো সার্চ কমিটি গঠন করে যেন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন না করা হয়। বিএনপি চায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দায়িত্ব পালন করবে এমন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। যাতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সরকার কোন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি মধ্যবর্তী নির্বাচন চায় না। বিএনপি একটি নতুন নির্বাচন চায়। আর সে নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সে নির্বাচন পরিচালনা করবে একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। তাই সরকারের সার্চ কমিটি নয়, জনগণের সার্চ কমিটি দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা না হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না, বিএনপিও তা মেনে নেবে না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সার্চ কমিটি নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। পাঁচ সদস্যের নতুন কমিশন নিয়োগে আগেরবারের মতো এবারও সার্চ কমিটি করা হচ্ছে বলে ইতোমধ্যে আভাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে সার্চ কমিটির নামে যে তামাশা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। সার্চ কমিটি দিয়ে কি হবে আমাদের ভালই জানা আছে। তিনি বলেন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে এক টেবিলে বসে দুই নেত্রীর মধ্যে সংলাপ হতে হবে। তাই আমরা বলতে চাই, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে রবিবার নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার দলীয় ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি নয় বরং জনগণের নির্বাচিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে সবার নিকট গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। বিএনপি মনে করে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ না হয় সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ডেকে এ ইস্যুতে মতামত নিয়ে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিএনপি মৌখিক ও লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে এ কমিশন গঠনের বিষয়ে দলীয় প্রস্তাব তুলে ধরতে পারবে। বিএনপির মতো অন্যান্য দলও তাদের নিজস্ব প্রস্তাব তুলে ধরার সুযোগ পাবে। আর তা করা হলে দেশের সাধারণ মানুষও এটিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করবে। রাষ্ট্রপতি সংলাপের উদ্যোগ নিলে বিএনপি যে প্রস্তাব দেবে তা যেন আরও ক’টি রাজনৈতিক দলও দেয় সে জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগেভাগেই এ নিয়ে কথা বলবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত হয় কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন। যদিও সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি সব সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তবে সার্চ কমিটির মাধ্যমে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা হলেও এর আগে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ ২৩টি রাজনৈতিক দলের মতামত নেন। এর মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই সার্চ কমিটি গঠন করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করে। ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সুপারিশ তৈরি করতে চার সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপীল বিভাগের একজন বিচারককে সভাপতি করে গঠিত ওই কমিটিতে সদস্য হন হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারী কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান। তবে তখন সার্চ কমিটির আহ্বানে আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের নামের তালিকা দিলেও বিএনপি দেয়নি। সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে যে সুপারিশ জমা দেয়, তাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ৪ কমিশনারসহ ৫ পদের জন্য ১০টি নাম দেয়। ওই ১০ জনের মধ্য থেকেই ৫ সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশের পর ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই নির্বাচন কমিশনের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই দাবি জোরালো করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি তা মানতে নারাজ হলেও ক্ষমতাসীনরা বলছেন, স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। অতীতে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবার মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান অনুসারেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগামীতেও একইভাবে গঠন করা হবে। বিএনপি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা বললেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই সার্চ কমিটির মাধ্যমে এ কমিশন গঠনের কথা বলছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠনও সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলছেন। সম্প্রতি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংগঠন ব্রতির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবেই সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়। তবে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যেন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা হয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করতে হবে বলে ব্রতি এ দাবি করে। সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা হবে। ২০১২ সালে যেভাবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল এবারও সেভাবেই হবে। ওইবারও সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবারও সংবিধান মোতাবেকই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা আশা করব সব রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় নতুন নির্বাচন কমিশন যেন এমন হয়। এ জন্য সরকার বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করতে পারে। দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সরকারেরই উদ্যোগ নেয়া উচিত। সরকার এমন উদ্যোগ নিলে বিএনপি তাতে সাড়া দেবে।
×