ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ শেরপুরের রাজাকার ফারুককে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ শেরপুরের রাজাকার ফারুককে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেরপুরের নকলার রাজাকার আমিনুজ্জামান ফারুককে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করেছে ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আবেদনে ২ অক্টোবর আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার গোপালেরচর গ্রামের ক্যাপ্টেন (অব) মোঃ শহিদুল্লাহর অসুস্থার কারণে সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পিছিয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর এ আসামিকে সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রবিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ প্রদান করেছেন। প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা বেগম চমন জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, নকলার রাজাকার আমিনুজ্জামন ফারুকের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ রয়েছে। দুটি অভিযোগই হত্যাকা- সংক্রান্ত। অন্যদিকে ক্যাপ্টেন (অব) মোঃ শহিদুল্লাহর অসুস্থতার কারণে সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পিছিয়েছে। এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৭ অক্টোবর। এর আগে এ আসামিকে গ্রেফতারের আবেদন করেন প্রসিকিউটর আবুল কালাম। আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, আসামি মোঃ শহিদুল্লাহ একাত্তরে দাউদকান্দিতে পাক সেনাদের একটি ক্যাম্প স্থাপন করেন। তিনি ওই ক্যাম্পের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একাত্তরে এ আসামি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। গত ২ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে রাত ১টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দির আমিরাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ। পরে বুধবার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আবুল কালাম জানান, কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার গোপালেরচর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে মোঃ শহিদুল্লাহ। আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়।
×