ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালীতে সড়কে হাঁটুকাদা, দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রাঙ্গাবালীতে সড়কে  হাঁটুকাদা, দুর্ভোগ  চরমে

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা থেকে ॥ বর্ষা মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে গেলেও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমলিবাড়িয়া সড়কের হাঁটুকাদা দূর হয়নি। পুরো সড়কটি বর্ষার কাদা পানিতে একাকার। অসংখ্য খানাখন্দে জমে আছে পানি আর পানি। যানবাহন চলার যেমন উপায় নেই, তেমনি হাঁটতে গেলেও কোন কোন স্থানে হাঁটু দেবে যায় কাদার মধ্যে। এমনই দুর্ভোগের মধ্যে দু’ কিলোমিটার কর্দমাক্ত রাস্তায় চলাচল করছেন পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর ইউনিয়নের আমলিবাড়িয়া গ্রামের নাজেম আলী সরদারের বাড়ি থেকে শাপলাবুনিয়া কালভার্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। বর্ষার পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পুরো সড়কে হাঁটুকাদা। এ কারণে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছেন এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসী জানান, রাস্তাটি দিয়ে আমলিবাড়িয়া, পূর্ব নেতা, রসুলবাড়িয়া, মাঝ নেতা ও গন্ডাদুলা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নিত্যদিন চলাচল করেন। বহু শিক্ষার্থীও এ সড়ক ব্যবহার করে। এ সড়কের আর কোন বিকল্প নেই। সামান্য একটু বর্ষা হলেই পুরো সড়ক চাষ দেয়া ধানক্ষেতের জমিতে পরিণত হয়। এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ হওয়া সত্ত্বেও সড়কটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। রাঙ্গাবালীর মাঝ নেতা গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান প-িত বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক উপচে পড়ে কাদা। তখন একদম চলাচল করা যায় না। পুরো সড়ক কাদা পানিতে একাকার হয়ে থাকে। আমলিবাড়িয়া গ্রামের মাহমুদ হোসেন বলেন, বৃষ্টি-বর্ষা হলেই রাস্তাটিতে কাদা পানি জমে যায়। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। এলাকাবাসী ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের মধ্যে আসা যাওয়া করতে হয়। এত দুর্ভোগের পরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়কে আমন চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রাঙ্গাবালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে এমন বেহাল দশা সত্ত্বেও সড়কের উন্নয়নে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে অনেক তদবির করা হয়েছে, কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। এলাকাবাসীর স্বার্থে রাস্তাটি খুব দ্রুত সংস্কার করা দরকার। এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকৌশলী নূর মোহাম্মাদ মোল্লা বলেন, সড়কটি চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের স্কিম করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে, যাতে খুব দ্রুত সংস্কার করা যায়।
×